প্রতীক নিয়ে প্রচারে রাজশাহীর প্রার্থীরা

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিচ্ছেন রিটানিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর প্রতীক পেয়েই প্রচারে নেমেছেন তারা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান।

প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৪৬ জন প্রার্থী, এরপর চারজন মেয়র প্রার্থী এবং শেষে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ফারুকী এবং গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর পরই পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পলিথিন মোড়ানো লেমেনিটিং করা পোস্টার টাঙানো হয়েছে নগরজুড়ে।

প্রতীক পেয়েই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন তার বাবা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করেন। পরে নৌকা প্রতীক উদ্বোধন করে প্রচার শুরু করেন তিনি। 

এ সময় লিটন সাংবাদিকদের বলেন, “ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করছি। সে অনুযায়ী আমরা ভোটের প্রচার চালাব। ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রচার শুরু করে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে শেষ করব।

“এ ছাড়া ইস্তেহার প্রকাশ করে আগামীতে রাজশাহীর জন্য কী কী করবো তা তুলে ধরব। আশা করছি, রাজশাহীকে আরও সামনে দিকে এগিয়ে নিতে নগরবাসী তাদের রায় আমার পক্ষে দেবেন।” 

এ সময় খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী, বড় মেয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, ছোট মেয়ে মাইশা সামিহা জামান শ্রেয়াসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেন অন্য তিন মেয়র প্রার্থীও।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই একজন মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা পোস্টার ফেস্টুন ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে। এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্ন হবে।

“আশা করছি, আচরণবিধি মেনে সবাই প্রচার চালাবেন। পল্লীবন্ধু এইচ এম এরশাদের উন্নয়নের ধারা ফিরিয়ে আনতে নগরবাসী এবার লাঙ্গল প্রতীকে রায় দেবে বলে আমি আশা করছি।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মেয়র পদে চারজন, ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানান রিটানিং কর্মকর্তা।