বরিশালে ১২৬টির মধ্যে ১০৬ কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নগরীতে সাড়ে ৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল মহানগর পুলিশ।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৮৪ শতাংশ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহিৃত করেছে পুলিশ। 

এসব কেন্দ্রে সাধারণ কেন্দ্রের চেয়ে দুইজন পুলিশ ও আনসার সদস্য বেশি দায়িত্ব পালন করবেন বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। 

পুলিশ কমিশনার বলেন, “নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। যার মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ থেকে ২৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।” 

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নগরীতে সাড়ে চার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।

তিনি বলেন, “নগরীর মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই সামান্যতম কোনো ইনসিডেন্টও যেন না ঘটে। 

“মানুষ ভয়ভীতি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবে না, বরং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে। এজন্য কোনো ধরনের প্যানিক সৃষ্টি করা যাবে না। ভোটাররা যেন রাস্তায় পুলিশ দেখে নিজেদের নিরাপদ মনে করে এমন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।” 

একটি থানার দায়িত্বে একজন উপ-কমিশনার, তিনজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, ছয়জন সহকারী কমিশনার থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

এ ছাড়া নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়েও টিম করা হয়েছে; দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গেও থাকবে পুলিশের টিম। 

মহানগর পুলিশের প্রধান আরও বলেন, “যারা ভোটার না কিন্তু এখানে অনেক দিন ধরে থাকছেন, কাজ করছেন তাদের তো বের করে দিতে পারবো না। তবে বরিশালে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। অর্থাৎ যারা ভোটার না তারা নগরীতে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে জরুরি কিছু হলে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সেটি বিবেচনা করা হবে।” 

তিনি বলেন, শুধুমাত্র জরুরি কাজ এবং চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তি ছাড়া কেউ নগরীতে অবস্থান করতে পারবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নে যতটা কঠোর হওয়া দরকার পুলিশ ততটাই কঠোরতা অবলম্বন করবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবু আহাম্মদ আল মামুন, উপ-কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, উপ-কমিশনার (ডিবি) মো. জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-কমিশনার (সিএসবি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা।