বিশ্বের অন্যতম বড় পণ্যমেলা হিসেবে পরিচিত চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলার ১২৬তম আসর শেষ হয়েছে। সারা বিশ্বে এটি ‘ক্যান্টন ফেয়ার’ নামে পরিচিত।
Published : 05 Nov 2019, 11:28 AM
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজুর পাঝৌ আমদানি-রপ্তানি প্রদর্শনী হলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এ মেলা দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৬৩ বছর ধরে নিয়মিত বসছে। ক্যান্টন মেলাকে ঘিরে চীনে বসবাস করা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যেও দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ।
মেলায় তিনটি ভাগে মোট ১৬ ক্যাটাগরির পণ্য প্রদর্শিত হয়েছে। প্রথম ধাপের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর। দ্বিতীয় ধাপে তা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৩ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর। তৃতীয় পর্যায়ে এ মেলা শেষ হয়েছে ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর।
প্রথম ধাপের প্রদর্শিত পণ্যগুলো ছিল ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আলোর সরঞ্জাম, শক্তি যানবাহন ও খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি হার্ডওয়ার ও সরঞ্জাম, নির্মাণ সামগ্রী, রাসায়নিক পণ্য ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রদর্শিত হয় ভোগ্যপণ্য, ঘড়বাড়ি সজ্জা, উপহার, পোষা পণ্য ও খাদ্য। তৃতীয় ধাপে প্রদর্শিত হয় অফিস সরবরাহ, মামলা ও ব্যাগ, বিনোদন পণ্য, খাদ্য, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, জুতো, ওষুধ, চিকিৎসা ডিভাইস, স্বাস্থ্য পণ্য এবং আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন।
বর্তমানে দুইশ দেশের সঙ্গে ক্যান্টন ফেয়ারের বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে। ক্যান্টন ফেয়ারের মুখপত্র জু বিং বলেন, “আমরা উচ্চমানের অগ্রগতি অর্জন করবো। আমাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে এবং বহির্বিশ্বের জন্য এ মেলাকে প্রথম শ্রেণির আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে পরিণত করবো। ক্যান্টন মেলাকে আরো বেশি পরিচিত করতে আমরা মহাপরিকল্পনার অংশে থাকা দেশগুলোতে নানা রকম প্রচারণার কাজ চালিয়েছি।”
এ মেলায় শুধু চীনা পণ্যের সমাহার ঘটে তাই নয়, বিদেশি বিক্রেতাদের জন্যও এটি একটি বড় ক্ষেত্র। ২০০৭ সাল থেকে এখানে আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন করা হচ্ছে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |