বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছর পূর্তি ও বিজয় দিবস পালন করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম যুক্তরাষ্ট্র শাখা।
Published : 17 Dec 2017, 02:18 PM
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।
এতে দিবসটি উপলক্ষে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দেন- জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম রানা, প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান ও আজিমউদ্দিন অভি এবং বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের প্রধান সবিতা দাস।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, “প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সির প্যাটারসন সিটি হলের সামনে আজ বাংলাদেশের পতাকাও উত্তোলন করেছেন সেই সিটির মেয়র। বিজয় দিবস উপলক্ষে এভাবেই বাংলাদেশ ঝলসে উঠছে বহুজাতিক এ সমাজেও। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে সব প্রবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “এবারের বিজয় দিবস বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ঘটনাবলী এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। বাঙালির এ অহংকারের সূচনা ঘটে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।”
একাত্তরের দুই গেরিলার বোন ও সমাজসেবা কর্মী সেলিনা মোমেন বলেন, “বাঙালি বিজয় অর্জনের ইতিহাস ম্লান করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।”
আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি লাবলু আনসার বলেন, “নতুন প্রজন্মকে একাত্তরের বাঙালির শৌর্য-বীর্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে, জাতির পিতার অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও তাদের পরিচিত রাখতে হবে। কারণ, অনাগত ভবিষ্যতে তারাই বয়ে নেবে বাঙালির বীরত্বগাঁথা।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার অধ্যাপক মতলুব আলী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলা অব্যাহত রাখতে সামনের নির্বাচনেও শেখ হাসিনা ও তার দলকে বিজয় দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রবাস থেকে সবাইকে একযোগে সোচ্চার হতে হবে। অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।”
প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বিজয় দিবস উপলক্ষে এমন একটি আয়োজনের জন্য সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা হয়।
বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার দেন- সমাজসেবা কর্মী সেলিনা মোমেন, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, শিল্পী শহীদ হাসান, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ ও সহ সভাপতি হারুন ভূঁইয়া।
মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থী শিবিরের স্মৃতিচারণ করেন পার্থ ব্যানার্জি। তিনি জানান, সে সময় তিনি ছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্র। তবুও বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম তাকে আন্দোলিত করে।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন প্রজন্ম একাত্তরের নেতা শিবলী সাদিক শিবলু।
একক সঙ্গীতে অংশ নেন- শহীদ হাসান, নিপা জামান, আলী মো. টুটুল ও সবিতা দাস।
বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের সমবেত সঙ্গীতে অংশ নেন- সবিতা দাস, আইজা, প্রান্তি, দুর্জয়, উইলি নন্দি, সৃজন, স্মৃতি আহমেদ, প্রিনা নন্দি, আরশা, সুলতানা আহমেদ, ইমন, রিমন আহমেদ, ইলা চৌধুরী, স্বর্ণা হালদার, স্মৃতি হালদার, মিতা কর্মকার, সোনিয়া, ইশরা, ইসপা, প্রিন্স আহমেদ, বেলাল, বুলা, নন্দীনী, মম, সেজুতি, বৈশাখী, নন্দিনী পাল ও পারমিতা পাল।
পুরো অনুষ্ঠানটির সমন্বয় করেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বারি, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া ও সঞ্চালনায় ছিলেন সহ সম্পাদক সোলায়মান আলী।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |