আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন, গাইবান্ধার ওই আসনে কোনো ভোট কেন্দ্রে গোলযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলার খবর তারা পাননি।
Published : 12 Oct 2022, 06:14 PM
গাইবান্ধায় উপ-নির্বাচনে কোনো মারামারি-সংঘাত না হলেও ভোট স্থগিতের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, “আজকের নির্বাচনের কোনো ভোট কেন্দ্রে গোলযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়েছে, এমন কোনো খবর নেই। এমনকি কোনো ভোট কেন্দ্রে ন্যূনতম মারামারিও হয় নাই।
“তারপরে প্রথমে কিছু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে আবার সব কেন্দ্রে স্থগিত, এরপর নির্বাচন কেন স্থগিত করা হল, এটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।”
বুধবার দুপুরে ঢাকায় বসে গাইবান্ধার ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নানা অনিয়ম দেখে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এই উপ-নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান।
তার এই সিদ্ধান্তের পর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান হানিফ।
গোপন কক্ষে ব্যাপক অনিয়ম, গাইবান্ধা উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধ
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বুধবার উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে চারজন প্রার্থী। ভোটগ্রহণের মাঝপথে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বাদে অন্যরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক বিবৃতিতে দাবি করেন, গাইবান্ধায় অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে লাঙলের প্রার্থীর এজেন্টদের জোর করে বের করে দেয় সরকারি দলের সমর্থকরা। জাতীয় পার্টির সমর্থকদের ভোটকেন্ত্রে যেতেও বাধা দেওয়া হয়।
নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, “নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় আমরা পরিশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি… সমগ্র নির্বাচনী এলাকা, গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনী এলাকার ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।”