দুই এমপির বক্তব্য ঘিরে সংসদে হৈ চৈ হয়েছিল এক দিন আগে।
Published : 31 Jan 2023, 07:28 PM
এইচ এম এরশাদকে নিয়ে দুই সংসদ সদস্যের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে ‘প্রাসঙ্গিক নয় এমন বক্তব্য ও অসংসদীয় ভাষা এক্সপাঞ্জ করা হবে’ বলে রুলিং দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের মোতাহার হোসেন এবং জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্য ঘিরে সংসদে হৈ চৈয়ের পর দিন মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে স্পিকার এই রুলিং দেন।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় সোমবার সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন বিষয় ও অসংসদীয় ভাষা এক্সপাঞ্জ করা হবে।”
সোমবার লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন দশম সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জামানাত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা বলার পর হইচই শুরু হয় সংসদে।
অধিবেশনের সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার সামসুল হক টুকু পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। পরে অধিবেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার স্পিকারের রুলিংয়ের আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদে সোমবারের প্রসঙ্গ টানেন। সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তোলেন তিনি।
চুন্নু বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচন মহাজোটে হয়েছিল। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ... জাতীয় পার্টি সবসময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনমুখী দল। “গতকালকে (সোমবার) যিনি (মোতাহার হোসেন) বক্তব্য রাখলেন। ২০১৪ সালে আমরা যদি বেগম এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে না আসতাম তাহলে তিনি এমপি বা প্রতিমন্ত্রীও হতে পারতেন না। আমাদের নির্বাচন করার কারণে তিনি প্রতিমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। মানুষ যে কেন অতীত ভুলে যায়।”