এই সরকার থাকলে সুষ্ঠু ভোট কীভাবে সম্ভব: মান্না

আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সংসদ ভেঙে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ গঠনের বিকল্প দেখছে না নাগরিক ঐক্য।

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে আমন্ত্রণ না পাওয়া দলটি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের এই অবস্থান তুলে ধরে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই সরকারের শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের অবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রধান বিচারপতি নিরাপদ নন, সেই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? এই সরকারের অধীনে আরেকটা নির্বাচনে নিয়ে আশাবাদী হওয়া মূখর্তা ছাড়া কিছু নয়। তাই বিদ্যমান সরকারি কাঠামো ঠিক রেখে নির্বাচনের তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা।

“আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এই দেশে এই মুহূর্তে একটা অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।”

নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার পথ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন মান্না।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, ভোটগ্রহণের আগে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএমে ভোটগ্রহণের চিন্তা বাতিল, সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, নির্বাচনী কেন্দ্রসমূহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিদ্যমান শর্তাবলী সংশোধনসহ আটটি প্রস্তাব দিয়েছে নাগরিক ঐক্য।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘নির্বাচন, সংলাপ ও গণতন্ত্র’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

লিখিত বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০১৪ সালের তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অনৈতিক সরকারটিই যাবতীয় সংকটের মূল। এই রাষ্ট্র, এই জাতি কোনোভাবেই একই ধরনের আরেকটি নির্বাচন ও অনৈতিক সরকারের ভার বহন করতে পারে না।

“আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন এই সত্যটি উপলব্ধি করবে এবং একটা প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জরুরি প্রধান শর্ত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনার পথ দেখাবে। আমাদের ভেঙে পড়া রাষ্ট্র ব্যবস্থাটি পুরোপুরি ভেঙে পড়বে নাকি আবার ঘুরে দাঁড়াবে সেটা নির্ধারিত হবে আগামী নির্বাচনে। আশা করি নির্বাচন কমিশন সেটা সঠিকভাবে অনুধাবন করবে এবং সঠিক কাজটি করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এসএম আকরাম, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহেদুর রহমান, ফজলুল হক সরকার, মমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।