ভারতে মাদার তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটি কেন্দ্র থেকে শিশু বিক্রির যে অভিযোগ ওঠায় ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
Published : 17 Jul 2018, 08:55 PM
ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকারগুলোকে দ্রুত দেশজুড়ে ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ পরিচালিত সব শিশুসেবা সদনে তদন্তের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ মাসের শুরুতে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে মাদার তেরেসা দাতব্য সংস্থার একজন নান ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি শিশুকে বিক্রির অভিযোগ ওঠার পর সরকার এ নির্দেশ দিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ঝাড়খণ্ড শিশুকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে একটি শিশু সদনের এক নবজাতক নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ জুলাই ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এমন মায়েদের পরিত্যক্ত শিশুদের সদনটিতে রাখা হত।
পুলিশ জানান, খুব সম্ভবত এক দম্পতি নবজাতক শিশুটির মায়ের হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছিল। যার বিনিময়ে সদন কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে তাদের দিয়ে দেয়।
দাতব্য সংস্থাটির পক্ষ থেকেও এ খবর ‘খুবই হতাশাজনক’ উল্লেখ করে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করার কথা জানানো হয়েছে।
“এ ঘটনা আমাদের নৈতিক বিশ্বাস বিরোধী। যদি এ ঘটনা সত্যিই ঘটে তবে, এরকম ঘটনা যেন আর কখনো ঘটতে না পারে তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
ভারতে অবৈধভাবে শিশু দত্তক নেওয়ার ঘটনা রীতিমত উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে দেশটিতে কঠোর দত্তক আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে ভারতে ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ গঠন করেন। যেখান থেকে অসহায় নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালে মহিয়ষী এই নারীর মৃত্যু হয়।