কাজু-বাদাম, কাঠ-বাদাম, দুধ, মালাই, কফিমেট, কফি-সহযোগে নানান রকম চায়ের স্বাদ নেওয়া যাবে তার দোকানে।
Published : 03 Mar 2020, 02:27 PM
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পাশে সুপরিচিত মুখ ‘রাজা’, যানজটের এই শহরে গাড়ি-মানুষের ভিড় ঠেলে অনেকে কেবল রাজার চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতেই গিয়েছেন বিমান বন্দর এলাকায়।
২৯ ফেব্রুয়ারী, অধিবর্ষের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’র সামনে ‘রাজা চায়ের আড্ডা’র দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন করা হয়। ডাকসু’র জিএস গোলাম রব্বানির আহ্বানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসেন এবং রাজা চায়ের দ্বিতীয় শাখা চালু করেন বলে জানান আজহার উদ্দিন অর্থাৎ রাজা।
রাজার মুখ থেকে জানা যায়, তিনি জীবিকার জন্য পাড়ি জমান দুবাইয়ে। সেখানে এক চায়ের দোকানে কাজ করতেন। দেশে ফিরে শুরু করেন চায়ের ব্যবসা। খুব অল্প সময়েই বেশ পরিচিতি পেয়ে যান।
ইতোমধ্যে, বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে তার চায়ের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তার কাছে চা খেতে মানুষ আসে বলে দাবি করেনন তিনি।
রাজার চায়ের বিশেষত্ব কী?
উত্তরে তিনি বলেন, “২০ টাকার এক কাপ চায়ে কাজু-বাদাম, কাঠবাদাম, হরলিক্স, কফি, কফিমেট, কিশমিশ ইত্যাদি আরও নানান উপাদান দিয়ে থাকি। ফলে চায়ের স্বাদ হয় ভিন্ন। এটা ‘রাজা চা’।”
আরও বলেন, “এই একই স্বাদের চা দেশের বাইরে তিনশ’ টাকায় বিক্রি করতাম। আরও নানান ধরনের চা থাকবে সামনে।”
বিশেষ চমক হিসেবে রাখার জন্য সে সম্পর্কে কথা বলতে চাননি রাজা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে চায়ের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
‘রাজার চায়ের আড্ডা’ দোকানের সাজসজ্জা খানিকটা ভিন্ন। বেশ রাজকীয় ভাব আছে।
দোকানের সজ্জা পরিকল্পনা সম্পর্কে রাজা বলেন, “দেশের বাইরে থেকেই এমন অনেক কিছুই দেখে শিখেছি।”
বেশ কিছুদিন আগে তার দোকানের নাম নকল করে কয়েক জায়গায় চায়ের ব্যবসা শুরু করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং নকল থেকে ব্যবসা বাঁচাতে সরকারিভাবে অনুমোদনের কাজ করেছেন তিনি।
দেশের মানুষ যেন ভালোকে ভালোভাবে মূল্যায়ণ করে এবং আসল পণ্য রেখে নকলের পেছনে না ছোটে সেজন্য আহ্বান জানান রাজা।