শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে পাঠ্যক্রমে স্তন ক্যান্সার বিষয়টি যুক্ত করার দাবি এসেছে এক অনুষ্ঠানে।
Published : 02 Jul 2022, 07:49 PM
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, “স্তন ক্যান্সার রোগের বেশির ভাগ রোগীই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। সচেতনতার অভাবে শেষ সময়ে গিয়ে তারা চিকিৎসা নেন। শুরুতেই সচেতন হলে এটি প্রতিরোধ সম্ভব। স্তন কান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এটি পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা উচিত।”
গত নয় বছর ধরে বেসরকারিভাবে ১০ অক্টোবরকে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালন করা হলেও সরকারিভাবে দিবসটি পালনের দাবি জানান তিনি।
স্তন ক্যান্সারে বছরে ২২ হাজার নারী আক্রান্ত হত এবং বিনা চিকিৎসায় ৬০ ভাগ মারা যেত উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখন সচেতনতা বাড়ায় সেটি কমে এসেছে। তবে গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের মায়েদের যদি সচেতন করতে পারি, তাহলে মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও সচেতন হবেন।”
এখন জেলা পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশেই এখন উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে।”
শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কর্মসূচি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ফ্যাকাল্টি ডা. হালিদা হানুম আক্তার বলেন, “স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় পরিবার থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নারীকেই সচেতন হতে হবে। ভয় বা সংকোচ নিয়ে চুপ করে থাকলে চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছোটবেলা থেকেই যদি ছেলেমেয়েদের সচেতন করা যায়, তাহলে এটি কার্যকরী হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় কাজ করতে হবে। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেয়, তাহলে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে।”
বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দেশে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করছে। এ বছর দশমবারের মত একযোগে ৬৪টি জেলায় দিবসটি পালনের চেষ্টা চলছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।