বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চক্ষু ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
Published : 02 Nov 2021, 09:47 PM
মঙ্গলবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ব্যাংক যেন খালি পড়ে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে সঙ্গে নিয়ে চক্ষু ব্যাংক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিন বিএসএমএমইউতে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস ও মরনোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই চক্ষু ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কর্নিয়া সংগ্রহ ও স্থাপনের বিষয়ে এখনও তেমন অগ্রগতি হয়নি। এ বিষয়ে আরও সক্রিয় হতে হবে।
“ব্যাংক তো স্থাপন করেছেন। ব্যাংকে যেন কর্নিয়া থাকে। ব্যাংকে যেমন টাকা পয়সা না থাকলে ব্যাংকের কোনো মূল্য নাই।
“ব্যাংকে যেন কর্নিয়া থাকে, সেই কার্যক্রম চালাতে হবে। কর্নিয়া নিয়ে যা জানতে পারলাম, এ বিষয়ে আমরা খুব বেশি দূর এগোতে পারিনি। এ পর্যন্ত মাত্র চার হাজারের মতো কর্নিয়া পাওয়া গেছে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এখন কারও রক্তের দরকার হলে হাহাকার শোনা যায় না। এখন আর ভীতির বিষয়টি কাজ করে না।
কর্নিয়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে চার হাজারের মতো মানুষের কর্নিয়া নেওয়া হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ লাশ থেকে। এ কারণে সন্ধানীকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।
অনুষ্ঠানে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি জানায়, দেশে কর্নিয়াজনিত অন্ধ ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। প্রতি বছর নতুন করে ৪০ হাজার মানুষ কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে।
এ সমিতি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১০৪ জনের কর্নিয়া সংগ্রহ করতে পেরেছে। এরমধ্যে ৩ হাজার ৪৫৯ জনের চোখে কর্নিয়া স্থাপনের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা গেছে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশে মরনোত্তর চক্ষুদানের সংখ্যা খুবই কম। প্রতি বছর বাংলাদেশে যত মানুষ মারা যায় তার ২ শতাংশের কর্নিয়া সংগ্রহ করতে পারলেও অন্তত ৪০ হাজার মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হত।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।