এক সহকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মনোরোগ চিকিৎসকদের সেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
Published : 21 Nov 2020, 09:55 PM
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রোগীদের জিম্মি করে চলা কর্মসূচির কারণে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়ভার চিকিৎসকদেরই নিতে হবে।
গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসার নামে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আনিসুল প্রথমে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ডা. মামুনই তাকে বেসরকারি মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ডা. মামুনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইনস্টিটিউটে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে তার মুক্তির দাবিতে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ রাখেন মনোরোগ চিকিৎসকরা।
এই চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস- বিএপির নেতারা বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী না দেখার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, এএসপি আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি কাম্য নয়।
“করোনার মধ্যে রোগীরা সাফার করবে, এই সময় কোনো আন্দোলন করা যাবে না। আমরা এইটা অনুরোধ করব। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কতটা যৌক্তিকভাবে করা হয়েছে, কেন করা হয়েছে এগুলোর তদন্ত চলছে। আইনি একটা প্রক্রিয়াতে আশা করছি সব সমাধান হয়ে যাবে।”
সতর্ক করে আব্দুল মান্নান বলেন, “চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় চিকিৎসকদের ওপর পড়বে। অনুরোধ করছি, ধৈর্য ধরুন, হাসপাতালে ডিউটি করুন।”
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, লাইসেন্স নেই বা লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার সিভিল সার্জনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।