রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ত্রয়োদশ আসরের মূল পর্বে ‘মাছের ঝোল’, ‘চিংড়ি ভর্তা’, ‘মাংসের কালাভুনা’, ‘ফুচকা’, ‘চটপটি’র মতো বাঙালি খাবার রান্না করে বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী।
Published : 26 May 2021, 10:04 PM
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরিতে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এর আগে কাঁচা আমের টক বানিয়ে বাছাই পর্ব পেরিয়েছেন তিনি।
তার রান্না নিয়ে বিচারক জক জনফ্রিলো বলেছিলেন, “এ বছর আমার খাওয়া সেরা রেসিপি এটি।”
মূল আয়োজনের একেক পর্বে একেক পদ রান্না করে মাস্টারশেফ মঞ্চে হাজির হয়েছেন কিশোয়ার।
মাছে-ভাতে বাঙালির পাতের চিরায়ত মেন্যু মাছের ঝোলকে বিশ্বমঞ্চে পরিবেশন করেছেন তিনি। তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি কমিউনিটিতে আলোচনা চলছে; সেই আলোচনার খবর দেশটির গণমাধ্যমেও এসেছে।
সবশেষ পর্বে বাংলাদেশের ‘স্ট্রিট ফুড’ হিসেবে পরিচিত ফুচকা ও চটপটি বানিয়েছেন কিশোয়ার।
এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় চটপটি ও ফুচকা ঘিরে নিজের অনুভূতির কথাও তুলে ধরে ধরেছেন তিনি। বিভিন্ন পর্বে কাঁচা আমের ভর্তা, মাছের ভাজি, শিম ভর্তা, পারাটাও তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশি বাবা-মার কাছ থেকে বাংলাদেশি পদ রান্না শিখতে গিয়ে বাঙালি খাবারের প্রতি বিশেষ অনুরাগ তৈরি হয়েছে কিশোয়ারের। বাংলাদেশের রান্না নিয়ে একটি বই লেখার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কামরুল হোসাইন চৌধুরী ও লায়লা চৌধুরীর মেয়ে কিশোয়ারের জন্ম ও বেড়ে উঠা মেলবোর্নেই। বাংলাদেশ ও জার্মানিতে কয়েক বছর বসবাস করেছেন তিনি।
মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক সম্পন্ন করে বিজনেস ভেভেলপার হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেছেন তিনি। তার দুই সন্তান রয়েছে।
মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার পাচক ও মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার দ্বাদশ আসরের প্রতিযোগী ফো লিং ইয়োকে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান কিশোয়ার।