২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সর্বোচ্চ ৮টি শাখায় দশটি পুরস্কার পেয়েও ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ চলচ্চিত্রটি সেরা ছবির পুরস্কার না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন পরিচালক মাসুদ পথিক।
Published : 03 Dec 2020, 06:27 PM
১০টি পুরস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে পাওয়া তার নিজের পুরস্কারটি গ্রহণ না করার কথা ভাবছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান এ নির্মাতা; দুয়েকদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
এবার চলচ্চিত্র পুরস্কারের ২৬টি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি পুরস্কার উঠেছে তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের ঝুলিতে।
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে মাসুদ পথিক ছাড়াও ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ থেকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র নারগিস আক্তার, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন, যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ গায়িকা মমতাজ ও ঐশী, শ্রেষ্ঠ গীতিকার কামাল চৌধুরী (যুগ্মভাবে), যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ সুরকার প্লাবন কোরেশী ও তানভীর তারেক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ হালিম ও শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে মো. রাজুকে পুরস্কৃত করেছে সরকার।
“এত পুরস্কার পাওয়ার পরও সেই ছবি সেরা ছবি না, সেই ছবির পরিচালক সেরা পরিচালক না, এটা কেমন কথা। বিষয়টি নিয়ে আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। নিজেকে বঞ্চিত মনে করছি।”
‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ চলচ্চিত্রের বাকি নয়জন শিল্পী-কলাকুশলী পদক গ্রহণ করলেও শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে পাওয়া পদকটি তিনি গ্রহণ করবেন কি না সেটা ভাবছেন বলে জানান মাসুদ পথিক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে দুয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।”
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর চিত্রকর্ম ‘নারী’ ও কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের একজন সংগ্রামী বীরাঙ্গনার গল্প চিত্রিত হয়েছে।
২০১৬ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি, প্রাণ রায়, মুমতাজ সরকারসহ আরও অনেকে।
২০১৯ সালের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও ‘ন ডরাই’; সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ‘ন ডরাই’র পরিচালক তানিম রহমান অংশু।