অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে উৎসে কর কাটার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছে সরকার।
Published : 19 Jul 2019, 12:11 AM
পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে আগের মতোই ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হবে।
নতুন বাজেটে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ সংক্রান্ত যে সার্কুলার পাঠিয়েছে, তাতে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনলে সেই মুনাফা থেকে ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার নির্দেশ দিয়েছে। আর ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ হারেই কর কাটতে বলা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অনুরোধে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২ জুলাই এনবিআর জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, অর্থ আইন ২০১৯ অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদেরকে সঞ্চয়পত্রের সুদ/মুনাফা প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের হার পরিবর্তন করে ৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে সকল সঞ্চয়পত্রের উপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কর্তন করতে হবে।
“শুধুমাত্র পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকার উর্দ্ধে বিনিয়োগের সুদ পরিশোধকালে উপরিউক্ত হারে অর্থাৎ ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে এ বিধান কার্যকর হবে। অর্থাৎ যখনই খরিদ করা হোক না কেনো ১ জুলাই বা তার পর প্রদত্ত সুদ/মুনাফা পরিশোধকালে উপরিউক্ত হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
৪ জুলাই সঞ্চয় অধিদপ্তর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দেয়।
সেই চিঠির পরিপেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সার্কুলারটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।