চট্টগ্রামে এক কলেজছাত্রী ও তার মার পোশাক পাল্টানোর দৃশ্য ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে টাকা দাবির অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
Published : 07 Apr 2021, 10:21 PM
বুধবার নগরীর প্রবর্তক ও নন্দনকানন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- অভিষেক সেন শর্মা (২১) ও আদিত্য বড়ুয়া (১৮)।তারা সম্পর্কে খালাত ভাই।
অভিষেক নগরীর বেসরকারি ইন্ডিপেডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং আদিত্য সেন্ট প্লাসিডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “কিছুদিন আগে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ও তার মা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে এসে অভিযোগ করেন, গোপনে তাদের পোশাক পাল্টানোর ভিডিও ধারণ করে এক যুবক টাকা দাবি করেছে। অন্যথায় তারা সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
“বিষয়টির সত্যতা পেয়ে বুধবার প্রবর্তক সংঘে অভিযান চালিয়ে মামার বাসা থেকে অভিষেককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ওই ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আদিত্য ফেইক আইডি ব্যবহার করে ভিডিওটি ছড়িয়ে দিচ্ছিল।”
এ তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন ১ নম্বর গলিতে আদিত্যর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মোবাইল ফোনে ফেইক আইডিটি ‘লগইন’ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান এডিসি অসিফ।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ জানান, প্রবর্তক সংঘের বাসিন্দা এক যুবক কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর বাসার জানালা দিয়ে মা-মেয়ের ভিডিও ধারণ করে অভিষেককে দিয়েছে। আর অভিষেক সেটি আদিত্যকে দিয়েছে।
“তারা সবাই মিলে ওই কলেজছাত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।”
বুধবার পাঁচলাইশ থানায় করা ওই ছাত্রীর মামলার তথ্য থেকে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ অভিষেক তার ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে জানায় তার একটি অশ্লীল ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দেখতে চাইলে অভিষেক তার হোয়াটস আপ নম্বরে ভিডিওটির একটি লিঙ্ক দেয়।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রীর মাও অভিষেকের সঙ্গে কথা বলেন এবং সে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সেখানে নয় হাজার টাকা পাঠাতে বলে। নম্বরটিতে বিকাশ অ্যাকাউন্ট না থাকায় টাকা পাঠানো যায়নি।
টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে অভিষেক ফের ওই ছাত্রীর ম্যাসেঞ্জারে তার মার একই রকম ভিডিও ভাইরাল হয়েছে জানিয়ে হোয়ার্টস আপ নম্বরে সেটিরও লিঙ্ক দেয়।