দুর্নীতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে চারদলীয় জোট সরকার আমলের দুর্নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
Published : 07 Sep 2019, 07:49 PM
তিনি বলেছেন, “যারা দুর্নীতিতে দেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে লজ্জিত করেছিলেন, যাদের পুরো রাজনৈতিক নেতৃত্ব দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন, দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার সেই বিএনপির নেই।”
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন হাছান মাহমুদ।
দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে বলে বিএনপি নেতাদের কথার জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। তাদের অর্থমন্ত্রীও কালো টাকা সাদা করেছিলেন।
“তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে বাংলাদেশে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। যে কারণে তার ১০ বছর সাজা হয়েছে। আরাফাত রহমানের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে।”
বিএনপি আমলের দুর্নীতির সঙ্গে হালের বালিশ ও পর্দা কেনায় দুর্নীতির ‘কোনো তুলনা হয় না’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “বালিশ কিংবা পর্দা দুর্নীতি ঘটেছে কিছু কর্মকর্তার মাধ্যমে। এখানে কোনো রাজনৈতিক বা জনপ্রতিনিধির সংশ্লেষ নেই। এই দুটি দুর্নীতির ব্যাপারেই সরকার অত্যন্ত কঠোর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন।
“বালিশ দুর্নীতির সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্দা দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সৌদিতে বদনাম ‘রোহিঙ্গাদের কারণে’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “সৌদি আরবে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আছে, যারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশি পরিচয়ে সেখানে বসবাস করছে। সেখানে তারা সমস্ত অপকর্মের সাথে যুক্ত। তাদের জন্য বাঙালিদের বদনাম হচ্ছে সৌদিতে।”
এজন্যও বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, “বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন হাজার হাজার রোহিঙ্গা সৌদি আরব গিয়েছিল। তখন বিএনপিই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছিল।”
চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধানে সরকার সচেষ্ট বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির অস্থিরতা বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা তাদের দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি আশা করব, যে সাময়িক মতপার্থক্য ও সংকট, সেটি কাটিয়ে উঠবে, সহসাই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।”