চট্টগ্রামের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনারর অভিযোগে গ্রেপ্তার তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট।
Published : 28 Aug 2019, 11:08 PM
জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ মিতুকে জামিন দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
৩২ বছর বয়সী আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ‘থ্রি ডক্টার্স’ নামে মেডিকেল ভর্তির একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন তিনি।
তার স্ত্রী মিতু কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইন্টার্ন করেন। সেখানেই আকাশের সঙ্গে তার পরিচয়, ২০১৬ সালে বিয়ে।
বিয়ের পরপরই উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন মিতু। সেখান থেকে ১৩ জানুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি।
তার দুই সপ্তাহের মাথায় গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন আকাশ।
আত্মহত্যার আগে আকাশ তার ফেইসবুকে পাতায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ করে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মিতুকে আটক করে।
আকাশের মা জোবেদা খানম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলাও করেন।
ওই মামলায় মিতুর পাশাপাশি তার মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলমকে আসামি করা হয়।
মিতু চট্টগ্রামের আদালতে জামিন চাইলেও বিচারক জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন মিতু।
হাই কোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিল তখন। সে রুলটিই যথাযথ ঘোষণা করে মিতুকে জামিন দেওয়া হয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।