আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর প্রথম মহড়া দিল চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিট।
Published : 02 Dec 2018, 11:04 PM
রোববার দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে কাউন্টার টেরজিম ইউনিটের এ মহড়া হয়। এক ব্যক্তিকে অপহৃত হওয়ার পর কীভাবে তাকে মুক্ত করা হবে- তাই দেখানো হয় মহড়ায়।
দেশব্যাপী বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ২০১৫ সালে চট্টগ্রামেও শুরু হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যক্রম। নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনারের অধীনে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হত।
চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিএমপি প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে তাদের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি জানান, সিটির অধীনে চট্টগ্রামে চার জন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে বোম ডিসপোজাল, সোয়াট, অপারেশন্স ও ইন্টেলিজেন্স- এই চারটি ইউনিট রয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, খোয়াজনগর, আমান বাজার এলাকায় ২০১৫-২০১৬ সালে জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা।
গত ২৩ জুলাই লালদীঘি এলাকায় নগর পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আগুনে পুড়ে যায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের প্রায় সব মালামাল। তখন প্রায় কয়েক মাস সরঞ্জামহীন ছিল এ ইউনিট।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট থেকে সরঞ্জাম এনে তা পূরণ করা হয় বলে সিএমপির কর্মকর্তারা জানান।
তিনি জানান, সিটিতে যেসব সদস্য আছেন, তাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি দল প্রশিক্ষণ নিতে জর্ডান যাবে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবেন।
রোববার সকালে পুলিশ লাইন মাঠে মহড়া অনুষ্ঠানে নগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ সিএমপির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।