পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। পাঁচ দিন প্রায় একই রকম ব্যাটিং সহায়ক ছিল পিচ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরতে হয়েছে বোলারদের। আইসিসির চোখে এই ম্যাচের পিচ ‘গড়পড়তা মানের নিচে।’
Published : 10 Mar 2022, 08:06 PM
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে এই রেটিং দেওয়ায় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
ওই ম্যাচের উইকেট নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি মাদুগালে।
“পাঁচ দিনে খুব একটা পাল্টায়নি উইকেটের আচরণ। বাউন্স কিছুটা কম হওয়া ছাড়া কোনো পরিবর্তন হয়নি। পিচে পেসারদের জন্য খুব বেশি গতি ও বাউন্স ছিল না বা ম্যাচটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পিনারদেরও সহায়তা মেলেনি। আমার দৃষ্টিতে এই পিচ ব্যাট ও বলের সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই, আইসিসির গাইডলাইন মেনে আমি এই পিচকে গড়পড়তা মানের নিচে রেটিং দিচ্ছি।”
২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল এটি। ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ছিল যেন ‘মহাসড়ক।’ নিষ্প্রাণ ড্র হওয়া এই টেস্টে পাঁচ দিনে দুই দল মিলিয়ে উইকেট পতন হয় মোটে ১৪টি। তিন ইনিংস মিলিয়ে রান হয় ১ হাজার ১৮৭।
ইমাম উল হক ও আজহার আলির দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেটে ৪৭৬ রানে, ১৬২ ওভারে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৪০.১ ওভার ব্যাটিং করে পঞ্চম দিন সকালে অলআউট হয় ৪৫৯ রানে। ইমাম ও আবদুল্লাহ শফিকের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫২ রান তোলার পর ড্র হয় ম্যাচ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো পিচ ‘গড়পড়তার নিচে’ রেটিং পেলে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় একটি। আর ‘নিম্নমানের’ উইকেটের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট তিনটি। ‘অনুপযুক্ত’ হলে ডিমেরিট পয়েন্ট পাঁচটি।
পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৫ ডিমেরিন্ট পয়েন্ট পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১০ পয়েন্ট পেলে নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের।