দলের চাওয়া ছিল পাওয়ার প্লেতে ২ ওভার বোলিং করে ১২ রানের বেশি না দেওয়া। নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে দিলেন স্রেফ ১০ রান। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো মানদণ্ডে, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই দুর্দান্ত বোলিং। কিন্তু শেষ নয় এখানেই। নাসুম এ দিন দুহাত উপচে দিলেন দলকে। শুধু মিতব্যয়ী বোলিংই নয়, ৪টি উইকেটও নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন দলের চাওয়াকে।
Published : 03 Mar 2022, 09:34 PM
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক নাসুম। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি পাওয়ার প্লেতেই গুঁড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের আশা।
বিপজ্জনক রহমানউল্লাহ গুরবাজকে তিনি আউট করেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। তৃতীয় ওভারে ফেরান আরও দুই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হজরতউল্লাহ জাজাই ও দারবিশ রাসুলিকে। নিজের তৃতীয় ওভারে পেয়ে যান করিম জানাতের উইকেটও।
এমনিতে তার বোলিংয়ের মূল কৌশল বরাবরই থাকে রান আটকানো। নতুন বলে বোলিং করেন নিয়মিতই। আঁটসাঁট লাইন-লেংথে বল রাখেন। এই ম্যাচেও মূল লক্ষ্য ছিল একই। সঙ্গে এবার দল সুনির্দিষ্ট সংখ্যাও তাকে বলে দিয়েছিল, ম্যাচ সেরা হয়ে জানান নাসুম।
“পাওয়ার প্লেতে আমার একটাই লক্ষ্য থাকে। ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আমি চ্যালেঞ্জ নেই, যত কম রান দেওয়া যায়। চেষ্টা থাকে পাওয়ার প্লেতে দলকে যাতে ভালো শুরু এনে দিতে পারি। এটাই আমার লক্ষ্য থাকে।
“আজকে প্রথমে আমাকে একটা লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল, পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ১২ রান দেওয়ার জন্য। আমি ৪ ওভারে ১০ রান দিয়েছি, ৪ উইকেট পেয়েছি। আজকেই প্রথম আমি একটা পরিকল্পনা পেয়েছি।”
১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং স্পর্শ করেন নাসুম। তার ক্যারিয়ার এখনও এক বছর হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন তিন বার। বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশিবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন কেবল আর চারজন।