উইকেটে বোলারদের জন্য ছিল না খুব একটা সাহায্য। বেশ কয়েকটি সহজ-কঠিন সুযোগ হাতছাড়া করে তাদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন ফিল্ডাররা। দায়িত্বশীল এক ইনিংসে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। দলের খুব প্রয়োজনের সময় নিজেদের মেলে করলেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। স্পিন ভেল্কিতে প্রথম ইনিংসে দলকে এনে দিলেন বড় লিড।
Published : 13 Nov 2018, 09:03 AM
তাইজুল-মিরাজের স্পিন ভেল্কিতে ২১৮ রানের লিড
দুই মূল পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ উইকেটশূন্য। দুই মূল স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ নিলেন দায়িত্ব। তাদের স্পিন ভেল্কিতে তিনশ পেরিয়েই থামল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পেল বড় লিড।
দ্বিতীয় দিন ৭ উইকেটে ৫২২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন ৩০৪ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। বোলিংয়ের সময় চোট পাওয়া টেন্ডাই চাটরা ব্যাটিংয়ে নামেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ২১৮ রানের লিড।
১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। সিরিজে টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। অফ স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ উইকেট নেন ৬১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫২২/৭ ইনিংস ঘোষণা
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫/১) ১০৫.৩ ওভারে ৩০৪ (চারি ৫৩, টিরিপানো ৮, টেইলর ১১০, উইলিয়ামস ১১, রাজা ০, মুর ৮৩, চাকাভা ১০, মাভুটা ০, জার্ভিস ৮*, চাটারা আহত অনুপস্থিত; মুস্তাফিজ ২১-৮-৫৮-০, খালেদ ১৮-৭-৪৮-০, তাইজুল ৪০.৩-১০-১০৭-৫, মিরাজ ২০-৩-৬১-৩, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১৪-০, আরিফুল ৪-২-১০-১)
তাইজুলের টানা তৃতীয় পাঁচ উইকেট
এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনে ফিরিয়ে দিলেন রেজিস চাকাভাকে।
তাইজুলের বলে কিপার ব্যাটসম্যানের ক্যাচ শর্ট লেগে মুঠোয় নেন মুমিনুল হক। ৩০৪ রানে নবম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আগের দিন বোলিংয়ে সময় চোট পাওয়া টেন্ডাই চাটারা ব্যাটিংয়ে নামবেন না; তাই থামে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস।
মিরাজের তৃতীয় শিকার মাভুটা
ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরানোর এক বল পর আবার আঘাত হানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শূন্য রানে ফিরিয়ে দিলেন ব্র্যান্ডন মাভুটাকে।
অফ স্পিনারের ফুল লেংথ ডেলিভারি পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঠিকমতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে ক্যাচ যায় আরিফুল হকের হাতে। নিজের তৃতীয় উইকেট পান মিরাজ।
২৯০ রানে অষ্টম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী কাইল জার্ভিস।
তাইজুলের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন টেইলর
ব্রেন্ডন টেইলরের স্লগ সুইপের কথা মাথায় রেখে স্কয়ার লেগ আর মিডউইকেটের মাঝে ফিল্ডার রেখেছিল বাংলাদেশ। কাজে লেগেছে কৌশল। দুর্দান্ত এক ডাইভিং ক্যাচে সেঞ্চুরিয়ান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
রাউন্ড দ্য উইকেটে বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজের ফুল লেংথ বল স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন টেইলর। সীমানায় কিছুটা এগিয়ে থাকা তাইজুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ক্যাচ। ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ মুঠোয় জমান তিনি।
১৯৪ বলে ১০ চারে ১১০ রান করে ফিরেন টেইলর। ২৯০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেইলরের আরেকটি সেঞ্চুরি
৯৪ রানে জীবন পাওয়া ব্রেন্ডন টেইলর তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। টেস্টে তার পঞ্চম, বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ।
তাইজুল ইসলামের বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্কে যান টেইলর। ১০৭ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি, সেঞ্চুরি এলো ১৮৭ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে আটটি চার।
মুরকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন আরিফুল
দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট পেলেন আরিফুল হক। পিটার মুরকে ফিরিয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভাঙলেন জিম্বাবুয়ের ১৩৯ রানের জুটি।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল আচমকা কাট করে ভেতরে ঢুকে চমকে দেয় মুরকে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দ্রুত ব্যাট নামিয়েছিলেন কিন্তু ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডিব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন তিনি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ-মিডল স্টাম্প লাগতো বল। মুরের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে হারায় একটি রিভিউ।
১১৪ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রান করে করেন মুর। ২৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে বেন্ডন টেইলরের সঙ্গী রেজিস চাকাভা।
টেইলরকে জীবন দিলেন মুশফিক
দ্বিতীয় নতুন বলে আবার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের। ব্রেন্ডন টেইলরকে জীবন দিলেন মুশফিকুর রহিম।
তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি স্পিন বেরিয়ে এসে কাট করতে চেয়েছিলেন টেইলর। তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা নিচু ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি মুশফিক। ব্যাটসম্যান এগিয়ে থাকায় স্টাম্পিংয়েরও সুযোগ ছিল কিন্তু সেটাও কাজে লাগাতে পারেননি কিপার।
সে সময় ৯৪ রানে ব্যাট করছিলেন টেইলর। দলের রান ছিল ২৬৪/৫।
মুরকে জীবন দিলেন অপু
জিম্বাবুয়ের শতরানের জুটি ভাঙার সুযোগ হাতছাড়া করলেন নাজমুল ইসলাম অপু। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পিটার মুরের ক্যাচ ছেড়েছেন এই বদলি ফিল্ডার।
অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ারে টাইমিং করতে পারেননি মুর। ক্যাচ যাচ্ছিল অপুর মাথার ওপর দিয়ে। লাফিয়ে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি তিনি। ৭৫ রানে জীবন পান মুর। সে সময় জুটির রান ছিল ১২৭।
টেইলর-মুর জুটিতে একশ
ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে পিটার মুরের জুটিতে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের স্পিন-পেস কিছুই ভাবাতে পারছে না তাদের। দ্বিতীয় নতুন বলেও সাবলীল ব্যাটিং করা দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দলকে উপহার দিয়েছেন ইনিংসের প্রথম শতরানের জুটি।
সৈয়দ খালেদ আহমেদকে কাভার দিয়ে চার হাঁকিয়ে ১৭২ বলে ষষ্ঠ উইকেট জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান মুর। জুটির পঞ্চাশ এসেছিল ৮৯ বলে।
মুরের ফিফটি
পিটার মুর উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই নতুন গতি পেয়েছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। গতিটা ধরে রেখেই করে ফেললেন ফিফটি। অষ্টম টেস্টে তার পঞ্চম ফিফটি।
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিফটি করেছিলেন মুর। পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন সেবার ১৪৫ বল খেলে। এবার ফিফটি হলো ৮১ বলেই। ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে ৮১ রানের জুটিতে ৫৩ রানই এসেছে মুরের ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় সেশনে তাইজুলের ২ উইকেট
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মিডল অর্ডারের দুই ভরসা শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৯৫/৫। ব্রেন্ডন টেইলর ৫৯ ও পিটার মুর ৪৪ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন ৬৪ রানের জুটি। তাদের জুটির ওপর ভর করে দ্বিতীয় সেশনে ৯৫ রান যোগ করেছে সফরকারীরা। প্রথম সেশনে তারা তুলেছিল ৭৫ রান।
জুটিতে অগ্রণী মুর। বাউন্ডারিতে এগোচ্ছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এরই মধ্যে হাঁকিয়েছেন সাত চার ও এক ছক্কা। অন্য দিকে সতর্ক ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন টেইলর।
এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার আশা জাগিয়েছেন তাইজুল । সিলটে টেস্টে ৬ ও ৫ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার এরই মধ্যে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
টেইলর-মুর জুটিতে প্রতিরোধ
তাইজুল ইসলাম দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর প্রতিরোধ গড়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর ও পিটার মুর। ষষ্ঠ উইকেটে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
৮৯ বলে পঞ্চাশে যায় করে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জুটি। প্রথম ইনিংসে এটি জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় পঞ্চাশ রানের জুটি।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টেইলরের ফিফটি
ক্রিজে আসার পর থেকে আস্থার সঙ্গে ব্যাটিং করা ব্রেন্ডন টেইলর তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারের নবম।
১০৭ বলে চারটি চারে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ফিফটিতে পৌঁছান টেইলর। দেশটির বিপক্ষে তার তিনটি সেঞ্চুরি আছে।
রাজাকে শূন্য রানে ফেরালেন তাইজুল
প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম উজ্জ্বল মিরপুরে টেস্টেও। সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে নিলেন নিজের চতুর্থ উইকেট।
দারুণ এক ডেলিভারিতে রাজাকে বোল্ড করেন তাইজুল। স্টাম্পের বেশ দূরে থেকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে বল করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। লেগ-মিডল স্টাম্পে পিচ করার পর সোজা যাওয়া বলের লাইন মিস করে সিরিজে তৃতীয়বারের মতো বোল্ড হয়ে যান রাজা।
১২ বল খেলা রাজা খুলতে পারেননি রানের খাতা। ১৩১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গী পিটার মুর।
তাইজুলের তৃতীয় শিকার উইলিয়ামস
প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় শন উইলিয়ামসকে এবার বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
লেংথে টানা বল করে যাওয়ার পুরস্কার পেলেন তাইজুল। অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলের লাইনে যেতে পারেননি উইলিয়ামস। তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও তাইজুলের বলে বোল্ড হয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১৮ বলে ১ চারে ১১ রান করেন উইলিয়ামস। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গী সিকান্দার রাজা।
প্রথম সেশনে জিম্বাবুয়ের ২ উইকেট
প্রথম সেশনে জিম্বাবুয়ের আগের দিনের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ঘণ্টায় দুই মেজাজের ব্যাটিংয়ে একশ ছুঁয়েছে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় সফরকারীদের স্কোর ১০০/৩। ব্রেন্ডন টেইলর ১৯ ও শন উইলিয়ামস ১ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম সেশনে ৭৫ রান যোগ করেছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল। প্রথম ঘণ্টায় তারা তুলেছিল মাত্র ১৭ রান। ব্রায়ান চারির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পরের ঘণ্টায় যোগ করে ৫৮ রান।
নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড টিরিপানোকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিদায় নেন চারি।
রিভিউ নিয়ে চারিকে ফেরাল বাংলাদেশ
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যাচের রিভিউ নিয়ে ব্রায়ান চারিকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি ভেঙেছে বাংলাদেশ।
অফ স্পিনারের বল স্পিন করে চারির গ্লাভস ছুঁয়ে ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। একহাতে ক্যাচ মুঠোয় জমান মুমিনুল হক। ক্যাচের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। আল্টাএজে মিলে গ্লাভসে মৃদু স্পর্শের প্রমাণ। পাল্টায় সিদ্ধান্ত, ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার।
১২৮ বলে ছয় চার আর দুই ছক্কায় ৫৩ রান করে চারির বিদায়ে ভাঙে ৫৬ রানের জুটি।
৪২ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯৬/৩। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলররের সঙ্গী সিলেট টেস্টের সেরা খেলোয়াড় শন উইলিয়ামস।
চারি-টেইলর জুটিতে পঞ্চাশ
শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন ব্রেন্ডন টেইলর। তিনি ক্রিজে আসার পর যেন পাল্টে গেছে ব্রায়ান চারির ব্যাটিং। নিজেকে গুটিয়ে রাখা ওপেনার শুরু করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ রানের জুটিতে দ্রুত এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
তৃতীয় উইকেটে সফরকারীরা পেয়েছে ইনিংসের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। জুটির রান পঞ্চাশে যায় ৬৪ বলে।
চারির ফিফটি
প্রথম ঘণ্টার পর রানের গতি বাড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। এতে সবচেয়ে বড় অবদান ব্রায়ান চারির। ডানহাতি এই ওপেনার তাইজুল ইসলামের এক ওভারে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
প্রথম ৯৩ বলে ২০ রান করেন চারি। তাইজুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু হয় তার পাল্টা আক্রমণ। এরপর পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদকে হাঁকান ছক্কা-চার। পরে তাইজুলের ওপর চড়াও হয়ে ১১১ বলে ওপেনার পৌঁছান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে। পঞ্চাশে যাওয়ার পথে শেষ ১৮ বলে ৩১ রান তুলে নেন তিনি।
টিরিপানোর প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল
একের পর এক বল ঠেকিয়ে যাওয়া ডোনাল্ড টিরিপানোর প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের হাত ধরে তৃতীয় দিন সকালে এলো প্রথম সাফল্য।
নাইটওয়াচম্যান টিরিপানো দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলা কাটিয়ে দেওয়ার তৃতীয় দিনেও খেলছিলেন দারুণ সতর্কতায়। প্রথম ঘণ্টার শেষ দিকে তাইজুলের বাঁহাতি স্পিনে স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার সংগ্রাম।
৪৬ বল খেলে একটি চারে ৮ রান করেন টিরিপানো। ৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে ব্রায়ান চারির সঙ্গী ব্রেন্ডন টেইলর।
স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
প্রথম দুই দিনে খুব একটা ভাঙেনি মিরপুর টেস্টের উইকেট। স্পিনারদের জন্য এখনও খুব একটা সহায়তা নেই। মুশফিকুর রহিমের আশা তৃতীয় দিন কিছুটা ভাঙবে উইকেট। টার্ন পেতে শুরু করবেন স্পিনাররা। জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে দিতে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিন খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৫/১। ক্রিজে ব্রায়ান চারির সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড টিরিপানো।
৪৯৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল। ফলোঅন এড়াতে আরও ২৯৮ রান চাই দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের।
উইকেটে সবুজ ঘাস আছে। শুরুর দিন থেকে সহায়তা পাচ্ছেন পেসাররা। আর্দ্রতার জন্য সকালের সেশনে পেস বোলিং সামলাতে প্রথম দুই দিন ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা। অসমান বাউন্স তাদের সামলানোর কাজটা করে তুলেছে অনেক কঠিন। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩০৩/৫) ১৬০ ওভারে ৫২২/৭ ডিক্লে. (মুশফিক ২১৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ৪, মিরাজ ৬৮*; জার্ভিস ২৮-৬-৭১-৫, চাটারা ২২.২-১২-৩৪-১, টিরিপানো ২৪.৪-৬-৬৫-১, রাজা ২২-১-১১১-০, উইলিয়ামস ৩০-৪-৮০-০, মাভুটা ৩১-১-১৩৭-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ২৫/১ (মাসাকাদজা ১৪, চারি ১০*, টিরিপানো ০*; মুস্তাফিজ ৬-৪-১১-০, খালেদ ৫-৩-৬-০, তাইজুল ৫-৪-৫-১, মিরাজ ২-১-২-০)