উইকেট থাকবে মন্থর, বল উঠতে চাইবে না কোমরের বেশি উচ্চতায়। ফাস্ট বোলারদের জন্য কঠিন। বাংলাদেশে তাই নিজের ভুমিকাটা জানেন প্যাট কামিন্স। আটকাতে হবে রান। তবে সম্ভব হলে গতি আর বাউন্সে ভীতিও ছড়াতে চান অস্ট্রেলিয়ার এই গতি তারকা।
Published : 16 Aug 2017, 03:31 PM
২০১১ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেকেই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স। হয়েছিলেন ম্যাচ-সেরা। এরপর চোটের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ। বছরের পর বছর লড়াই করে অবশেষে আবার টেস্ট খেলতে নামেন গত মার্চে, ভারতের মাটিতে।
পেসারদের কাজ ভারতেও ছিল কঠিন। কিন্তু কামিন্স প্রমাণ করেন, আগের চেয়ে অনেক পরিণত তিনি। শরীরও অনেক বেশি ফিট। রাঁচি টেস্টে এক ইনিংসেই বোলিং করেন ৩৯ ওভার! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল প্রায় একই গতি। একই সঙ্গে আগ্রাসী ও কিপটে বোলিংয়ে নেন ৪ উইকেট।
পরের টেস্টেও এক ইনিংসে বোলিং করেন ৩০ ওভার নেন ৩ উইকেট। পরের ইনিংসে ৮ ওভার করে একটি। বুঝিয়ে দেন উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জটাও নিতে পারেন ভালোই।
কামিন্সের মতে, বাংলাদেশে পেসারদের কাজ হবে আরও কঠিন। তবে নিজেদের ভূমিকাটা জানেন ঠিকঠাক।
“ভারতে উইকেটগুলোয় একটু হলেও গতি ও বাউন্স ছিল। বাউন্সটাকে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। বাংলাদেশে…আমার মনে হয় আমাদের ভুমিকা হবে মূলত রান আটকানো। আর কখনও কখনও ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করা।”
“বল যদি সুইং করে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব ব্রেক থ্রু দিতে। কিন্তু এমনিতে উপমহাদেশে পেসারদের অনেক কঠিন ওভার পার করতে হয়।”
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট একাদশে পেস আক্রমণে জস হেইজেলউডের সঙ্গে জুটি বাধবেন কামিন্স। স্পিনে জুটি বাধবেন নাথান লায়ন ও অ্যাশটন অ্যাগার।
উপমহাদেশের কন্ডিশনের কাছাকাছি বলে বিবেচিত ডারউইনে এক সপ্তাহের ক্যাম্প করে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। মারারা ওভালে অনুশীলন ও তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেটও যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে বাংলাদেশের মত করার। কামিন্স জানালেন প্রস্তুতিটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না।
“এখানকার কন্ডিশন অনেকটাই বাংলাদেশের মত। এখানকারও ওরা দারুণ কাজ করেছে একইরকম কন্ডিশন গড়ে তুলতে। উইকেট একটু মন্থর ছিল বল রিভার্স করছিল। যেটা ওখানেও (বাংলাদেশে) করতে পারে।”
“দিনের শেষ দিকে উইকেট ভাঙছিল, স্পিনারদের জন্য ছিল সহায়তা। আমরা যা চাই, মোটামুটি তারই প্রতিফলন ছিল এখানকার কন্ডিশনে।”
২ টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় আসছে আগামী শুক্রবার।