অপেক্ষার অবসানটা কী দারুণভাবেই না করলেন সাব্বির রহমান। দারুণ সব শটে মুগ্ধতা ছড়িয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পেয়েছেন নিজের প্রথম শতক। এই ইনিংসেই ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস গেইল ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে।
Published : 13 Nov 2016, 04:31 PM
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৬১ বলে ১২২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন রাজশাহী কিংসের সাব্বির। বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে বরিশাল বার্নার্সের গেইলের ১১৬ ছিল আগের সর্বোচ্চ।
তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখনও তামিম ইকবালের। ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের বিপক্ষে এই বাহাতি ব্যাটসম্যান করেছিলেন ১৩০ রান। তার পেছনেই আছেন সাব্বির।
৫৩ বলে আসে সাব্বিরের শতক, হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম তিন অঙ্ক ছোঁয়ার রেকর্ড। ২০১৩ সালে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের বিপক্ষে ৫৬ বলে শতক করেছিলেন ঢাকা গ্ল্যডিয়েটর্সের আশরাফুল।
সাব্বিরের ঝড়ো ইনিংসটি গড়া ৯টি করে ছক্কা-চারে। হায়দারের বলে শেষ ছক্কাটিতে শামসুর রহমানকে পেছনে ফেলেন তিনি। ২০১৩ সালে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৮ রান করার পথে ৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের শামসুর। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টিতে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ ছক্কা।
সাব্বির বেশি পরিচিত টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেই সংস্করণে ৮৬তম ম্যাচে এসে নিজের প্রথম শতক পেলেন তিনি।
স্পিনার মনির হোসেনের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকিয়েছেন ছক্কা। পেসার আবু হায়দারের বলেও একই ফল। তাইজুল ইসলামকে উড়িয়ে সীমানা পার করেছেন দুই বার।
যার হাতে জীবন পেয়েছেন সেই আল আমিনকে লংঅনের ওপর দিয়ে হাঁকিয়েছেন ছক্কা। সবচেয়ে বড় ছক্কাটা মেরেছেন দিলশান মুনাবিরার বলে।
মনিরকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৭ রান থেকে ৯৯ রানে পৌঁছে যান সাব্বির। হায়দারের পরের ওভারে দুই রান নিয়ে শতকে পৌঁছান সাব্বির। শতক করার পথে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকান এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বিপিএলের চলতি আসরে এটাই প্রথম শতক।
আল আমিনের বলে ক্যাচে দিয়ে শেষ হয় সাব্বির ঝড়। অসাধারণ এক ইনিংস খেলার পরও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে ৪ রানে হেরেছে রাজশাহী।