জাতীয় দলের এক সময়ের অপরিহার্য ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস গত তিন বছর কোনো সংস্করণের দলেই ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পের জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে বিবেচনায় থাকাটাই এখন বড় পাওয়া। টপ অর্ডারে এই মুহূর্তে জায়গা নেই, এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
Published : 07 Nov 2016, 06:54 PM
২০১৩ সালের এপ্রিলে দেশের হয়ে ২৪ টেস্টের শেষটি খেলেন শাহরিয়ার। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শেষ ওয়ানডে খেলেন ২০১১ সালে। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেন ২০০৬ সালে।
“২০১৩ সালে বাদ পড়ার পর থেকে আমি কোথাও ছিলাম না। প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়ার মধ্য দিয়ে একটা নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এবার নিউ জিল্যান্ড সফরে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছি।”
“আমি বাস্তবতায় খুব বিশ্বাসী। আপনি যদি বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স দেখেন, টপ অর্ডার ভালো করছে। দলে এমন কোনো জায়গা নেই যার জন্য নির্বাচকরা আমাকে চূড়ান্ত দলে নিতে পারেন। তারপরও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় আমি আছি। এটা আমার খুব বড় পাওয়া।”
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে শতক করার কৃতিত্ব শাহরিয়ারের। ২০১৩ সালে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের হয়ে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। শাহরিয়ার মনে করেন, সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি জাতীয় দলের পথেই রাখবে তাকে।
“অবশ্যই একটা ভালো পারফরম্যান্স একজন খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত করে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমার এমন বড় রান আছে, বেশ ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছিলাম-এটা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রেরণা দেয়।”
আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হবে শাহরিয়ারের বরিশাল বুলস। দলের বোলিং সামর্থ্য সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে ভালো করার আশা দেখাচ্ছে তাকে।
“আমাদের দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। তবে আমি মনে করি, আমাদের বোলিং বেশি শক্তিশালী। যে সংস্করণেই খেলেন আপনাকে ম্যাচ জেতাবে কিন্তু বোলাররাই। আমাদের ব্যাটিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। মুশফিকুর রহিমের মতো একজন খেলোয়াড় আমাদের অধিনায়ক। বিদেশি খেলোয়াড়রাও খুব ভালো।”