নিজেকে প্রমাণের চেষ্টায় মোসাদ্দেক

ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে খেলেছেন ৭৬ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তবুও দল না জেতায় নিজের ইনিংস নিয়ে খুশি নন মোসাদ্দেক হোসেন। দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ জানিয়ে বললেন, নিজেকে প্রমাণের তাড়না ছিল তার।

মোসাদ্দেকের কাছে মূল হুমকি রশিদ খান

লড়লেন কেবল মোসাদ্দেক

‘বাংলাদেশের হয়ে খেলাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা’

ইংল্যান্ডের সমান মর্যাদা পাচ্ছে আফগানিস্তান

শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেন মোসাদ্দেক। প্রতিপক্ষকে ২৩৩ রানে বেধে রাখলেও তার দল শেষ পর্যন্ত হারে ৬৬ রানে।

ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোসাদ্দেক জানান, শুরুতে উইকেট পড়ে যাওয়ায় প্রথম দিকে সতর্ক থাকতে হয়েছিল তাকে। মাঠ একটু মন্থর থাকায় পেসারদের বলে শুরুতে প্রান্ত বদল করে খেলতে পারেননি।

“মাঠ একটু মন্থর ছিল বলে বল বের হচ্ছিল না। মাঠ আরেকটু ফাস্ট থাকলে বল বের হয়ে যেত। ওরা খুব ভালো জায়গায় বল করছিল। শুরুতে উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা চাপে ছিলাম। আমাদের সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়েছে সে জন্য শুরুতে আমাদের রান বের করতে একটু সমস্যা হয়েছে।”

“আজ ব্যাটিং করে আমার মনে হয়েছে, রান করার চেয়েও উইকেট পড়া আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল একটু নিচু হচ্ছিল, কিছুটা ঘুরছিল। উইকেট পড়তে পেরেছি, সেটা আমার কাছে বড় কিছু।”

ঘরোয়া ক্রিকেটের রান বন্যা জাতীয় দলে এনেছে মোসাদ্দেককে। তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান মনে করেন, পারফরম্যান্স দিয়েই দলে জায়গা পাওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে তাকে।

“একজন খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে ডাক পায় তখন তার আত্মবিশ্বাস অন্যরকম থাকে, আমারও তেমনই ছিল। আমাকে প্রমাণ করতে হবে কেন আমি জাতীয় দলে। আমি সেটাই চেষ্টা করেছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত খেলার; কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়নি।”

মোসাদ্দেক পছন্দ করেন চার বা পাঁচে ব্যাটিং করতে। তবে দলের প্রয়োজনে আরও নীচে ব্যাট করতেও প্রস্তুত তিনি।

“শেষ প্রিমিয়ার লিগেও আমি নিচে ব্যাট করেছি। সব জায়গায় ব্যাট করার অভ্যাস আছে আমার। আমার মনে হয়, আমি সমলাতে পারব।”