কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়ে গেলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হবে না মুস্তাফিজুর রহমানের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজেও তার খেলার সম্ভাবনা খুব কম। আল আমিন হোসেন মনে করছেন, এই দুই সিরিজে তরুণ সতীর্থের অভাব তারা খুব অনুভব করবেন। তবে তার বিশ্বাস, সবাই মিলে চেষ্টা করলে মুস্তাফিজের অভাব পূরণ সম্ভব।
Published : 02 Aug 2016, 07:02 PM
মুস্তাফিজের অভিষেকের পর থেকে কোনো ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। স্বল্প সময়েই পেস বোলিংয়ের সেনশেসন হয়ে উঠেছেন জাতীয় দলের অন্যতম বোলিং ভরসা।
কাঁধের চোট থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করালে আপাতত মুস্তাফিজের জাদুকরী বোলিং থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। তার না থাকা অনেক বড় ক্ষতি তবে একই সঙ্গে নিজেদের ক্রিকেটে গভীরতা দেখানোরও সুযোগ মনে করেন আল আমিন।
“মুস্তাফিজ আমাদের অনেক বড় একটা সম্পদ। প্রত্যেক দলই ওকে নিয়ে পরিকল্পনা করে কিন্তু তা কাজে লাগে না। এটা একটা ফ্যাক্টর। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। সাকিব ভাই, মুস্তাফিজ একপাশ থেকে রান চাপাতে পারে তখন অন্য পাশ থেকে যারাই আসছে তারা উইকেট নিচ্ছে। সে দিক থেকে মুস্তাফিজকে অনেক মিস করব। যত দ্রুত ও রিকভারি করতে পারে তত আমাদের উপকার হবে।”
“দেখেন এক বছর আগেও কিন্তু মুস্তাফিজ দলে ছিল না। বাংলাদেশ দল খেলেছে। আমরা এমনভাবে পারফরম করার চেষ্টা করব, যেন ওর অভাবটা বোঝা না যায়। তা না হলে সবাই ভাববে, মুস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশ দল কিছু না। একজন খেলোয়াড় চোটে পড়তে পারে, একজনের খারাপ সময় যেতে পারে। যারা থাকবে তাদের দায়িত্ব বেড়ে যাবে।"
চোটের জন্য মুস্তাফিজ নেই, বোলিং সংশোধন নিয়ে ব্যস্ত আছেন তাসকিন আহমেদ। তারপরও জাতীয় দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হবে আল আমিনদের।
“এটা আমাদের পেসার জন্য একটা পজেটিভ চ্যালেঞ্জ। এখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। যে যখন সুযোগ পায় সে তখন তার সেরা দেয়। টিকে থাকতে হলে এখানে আমাদের নিজের সেরাটাই দিতে হবে।”
সাদা বলে আল আমিন যতটা সফল ততটাই বিবর্ণ লাল বলে। ১৪ ওয়ানডে ২১ আর ২৫ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসার ৬ টেস্টে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে শেষ ৬ ইনিংসের ৫টিতেই তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।
“চেষ্টা করছি ফিটনেস আরও বাড়িয়ে, লাল বলে আরও অনুশীলন করে- সাদা বলে জাতীয় দলকে যতটুকু সাফল্য পেয়েছি লাল বলেও তা করার চেষ্টা করব।”