“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
Published : 26 Apr 2024, 09:37 PM
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস জানায়, শুক্রবার ব্যাংককের সরকারপ্রধানের কার্যালয় গভার্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।”
ভোজসভার আগে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন এবং তারপর তারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্বারক এবং একটি আগ্রহপত্র রয়েছে।
ভোজসভায় শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, “আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই বন্ধু দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগসহ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিসের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে।
“আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে আরো উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে আমাদের অবশ্যই দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে আমরা অবশ্যই সকল প্রচেষ্টা চালাব।”
তিনি বলেন, ঢাকা ও ব্যাংকক যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে, তা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো দাঁড় করানোর সুযোগ করে দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার এ সফর ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর আরো বেশি নজর দেওয়ারই অংশ, যা দুই দেশের সম্পর্ক নবায়ন করার একটি ‘চমৎকার সুযোগ’ করে দিয়েছে।
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে।”
ভোজসভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভার্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।