সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৭ জন সঙ্কটাপন্ন

বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া সাতজনের মধ্যে একজনের দেহের ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বিস্ফোরণের ধাক্কায় নর্থ সাউথ রোডে থাকা বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে দগ্ধ সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার বিকালে ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাস টার্মিনালের দক্ষিণ দিকে নর্থ সাউথ রোডের পাশের সাততলা ওই ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। বাণিজ্যিক ওই ভবনে স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, বৈদ্যুতিক সামগ্রীর গুদাম ও কিছু অফিস রয়েছে।

বিস্ফোরণের প্রবল ধাক্কায় আশপাশের ভবনগুলোর কাচ চুরমার হয়ে যায়; সড়কে থাকা বাসসহ বিভিন্ন গাড়িও ক্ষতিগ্রস্তু হয়।

বিস্ফোরণের পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ১৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত অনেককে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৫

ঢাকা মেডিকেল থেকে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে পাঠানো হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে।

ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই সময় পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ সাতজন রোগী তারা পেয়েছিলেন। তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

“আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত সাতজন ভর্তি হয়েছেন। আরও রোগী আসছেন। সাতজনের মধ্যে চারজনের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়েছে। একজনের ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন।”

দেহের ৫৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশে আগুনের ক্ষত নিয়েও বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন রোগীরা।

কারও শরীরের ১৫ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হিসেবে বিবেচনা করেন।

ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই খুব খারাপ।”