রায়ের আগে আদালত থেকে চম্পট বিএনপি-জামায়াতের ৫ কর্মীর

হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগে আদালত থেকে পালিয়েছেন সাভারের বিএনপি-জামায়াতের পাঁচজন কর্মী।

দশ বছর আগে সাভারের শিমুলিয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা সড়কে বেআইনি সমাবেশ করে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় বুধবার বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসলি আনোয়ারুল কবির বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার ৩০ জন দণ্ডিতের মধ্যে তিনজন শুরু থেকে পলাতক। আর ২৭ জন নিয়মিত বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

“আজ এই ২৭ জনের মধ্যে ২২ জন আদালতে হাজির না থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চান। আর পাঁচজন দেন হাজিরা। কিন্তু রায় ঘোষণার একটু আগে পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে এই পাঁচজন এজলাসে না এসে পালিয়ে যান।”

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিনহাজউদ্দীন মোল্লা, শফিকুল ইসলাম, শাহজালাল, আমানুল ইসলাম আমান, মো. রাকিব, আলাউদ্দীন, আশিকুর রহমান, মাহমুদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহিদ, ফজল আহমেদ, আফসার মোক্তার, রেজাউল করিম জুয়েল, খোরশেদ আলম, ইউনুস খান, মো. নয়ন, শহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, হাসিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান টিটু, ইউসুফ হোসেন, শাহনেওয়াজ হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মুসলেমউদ্দীন, আমজাদ হোসেন টুটুল, মো. রাকিব, মোহাম্মদ আলী পাঠান, আরিফুল হক সুমন, সাইফুল ইসলাম ও মাহমুদুল মুকুল।

আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস, ৪২৭ ধারায় ৬ মাস এবং ৪৩৬ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল সাভারের শিমুলতলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাত ৮টায় বিএনপি ও তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মিছিল, যানবাহন ভাঙচুর এবং বাসে আগুন দেন।

এ ঘটনায় সাভার থানার এএসআই ফারুক জামান মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আমিনুর রহমান অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতজন।