চিহ্নিত রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে দেড় মাস আগে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এখনও জবাব পায়নি নির্বাচন কমিশন।
Published : 25 Jun 2015, 05:05 AM
এ অবস্থায় সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে সোমবার সংশ্লিষ্টদের নতুন করে তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
চিঠির অনুলিপি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিবন্ধন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলা প্রশাসনের তদন্তে তালিকাভুক্ত ৩২ জনের পূর্বপুরুষ রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া ৯৮ জন রোহিঙ্গা হিসাবে শনাক্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় গত ৪ মে।
“কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জেলা প্রশাসককে নতুন করে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে।”
৩৮৯ রোহিঙ্গা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে- গতবছর ২৩ অক্টোবর এই ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।
ছয় মাস পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ৩৮৮ জনের শনাক্ত প্রতিবেদন পাঠান নির্বাচন কমিশনে।
এতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত ৯৮ জন রোহিঙ্গা। ৩২ জনের পূর্বপুরুষ রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা ১১ জন, ১২ জনের বাবা রোহিঙ্গা, চারজনের মা রোহিঙ্গা, একজনের বাবা-মা রোহিঙ্গা।
এছাড়া একজনের পিতামহ ও তিনজনের দাদি রোহিঙ্গা বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
জেলা প্রশাসনের অনুসন্ধানে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সনাক্ত হন ১৮৪ জন। বাকি ৭৪ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।