আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়া এক মামলার রায়ের বিষয়ে অন্য একটি মামলার রায়ে করা মন্তব্য নিয়ে হাইকোর্টের দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আপিল বিভাগ।
Published : 28 Apr 2015, 12:29 AM
সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ১১ মে শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রাখে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ দুইজন নাগরিকের করা একটি মামলায় হাই কোর্ট বিভাগের এক রায়ে আগের একটি মামলা এবং আপিল বিভাগ সেই মামলার রায়কে যে বহাল রেখেছে সেই ব্যাপারটি উল্লেখ করে একটি মন্তব্য করায় আপিল বিভাগ বিষয়টির ওপরে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছেন, দুইজন বিচারপতির বিষয়ে। কি আদেশ দিয়েছেন সেটা আমরা এখনও জানি না।
“অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমার জানার কথাও না। কারণ, এটি হল দুই পক্ষের ব্যাপারে আদালতের একটি মন্তব্যের বিষয়ে উনারা খুব সম্ভবত অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আজকে উনারা একটি আদেশ দিয়েছেন।”
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কমকর্তা বলেন, “হাই কোর্ট বিভাগ একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে অন্য কোনো বিষয়ে বা অন্য মামলার বিষয়ে এবং যে মামলা আপিল বিভাগ কর্তৃক পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেই ব্যাপারে কতখানি বলতে পারেন, পারেন না- এসব বিষয় এই মামলায় নির্ধারিত হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় আপিল বিভাগের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে একটি দেওয়ানি মামলায় হাই কোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, ওই বাড়ির নিবন্ধিত চুক্তি প্রশাসনিক আদেশে বাতিল হয়, উচ্চ আদালতের রায়ে ওই প্রশাসনিক আদেশ বহাল থাকে। এ সিদ্ধান্ত এই উপমহাদেশের একমাত্র সিদ্ধান্ত যা, আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি কিন্তু অন্য কোনো উত্তম আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সার্বজনীনভাবে প্রযোজ্য হতে পারে না।
হাই কোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর দেওয়া মামলার রায়ে পরাজিত পক্ষের (জয়নাব বিবি বনাম মো. বাহাউদ্দিন এবং অন্যান্য) করা আপিল সোমবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।