চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৫৯ জন।
Published : 29 Mar 2015, 09:01 PM
রোববার শেষ দিনে ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে একজন নারীসহ মোট ২৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলের ১৪টি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৭১ জন।
নগরীর ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা।
ফাতেমা বাদশা বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতবারও প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করিনি।
“পরে আর সময় হয় কি না, জানি না। তাই এবার সরাসরি কাউন্সিলর পদে দাঁড়ালাম। জয়ী হলে এলাকাবাসীর দুঃখ দূর করতে কাজ করব।”
রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেন নগরীর ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের গত চার বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত মেয়র ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সেকান্দর, ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন।
নারী কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত ৫ এর মনোয়ারা বেগম মনি, সংরক্ষিত ৯ এর রেহানা কবির রানু, সংরক্ষিত ৭ এর আনজুমান আরাসহ কয়েকজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এছাড়া ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মামুন, ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডে শৈবাল দাশ সুমনসহ বেশ কিছু নতুন মুখ এবার রয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে।
রোববার সকাল থেকে নগরীর জুবিলী রোডে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভিড় শুরু হয়।
গত শনিবার পর্যন্ত প্রথম ১০ দিনে সংরক্ষিত ও কাউন্সিলর পদে মাত্র ৫২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাকি ৩০৭ জনই শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিকাল ৫টার পরও চারজন প্রার্থী কাগজপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়নি।
নতুন-পুরনো সব প্রার্থীই সাংবাদিকদের বলেন, জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।
চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, সোমবার থেকে ১৪ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। প্রত্যেক প্রার্থীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ হবে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে ‘শোকজ’ করা হয়েছে।