দুটি আন্তর্জাতিক সংসদীয় ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বিজয় এদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
Published : 21 Oct 2014, 07:05 PM
বিএনপি জোটের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমারা প্রশ্ন তুললেও এই ভোটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদের সংসদের প্রতি আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন মন্তব্য করেছেন তিনি।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার ঢাকা ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্পিকার।
গত ৯ অক্টোবর ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউনদে-তে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ)৬০তম সম্মেলনে সরাসরি ভোটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন।
এরপর সপ্তাহ না ঘুরতেই সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্বের ১৬৪টি দেশের আইনসভার সংগঠন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩১তম সাধারণ অধিবেশনে ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ দুটি বিজয়ের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, “এ বিজয় সংসদীয় গণতন্ত্রের। এ বিজয় দেশের জনগণের। দেশের জন্য এটা বড় অর্জন; বিরল গৌরবের।”
সংসদ নির্বাচনের পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো সংকট আছে বলে মনে করি না। যদি সংকট থাকত তবে এ বিজয় আসত না। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে- বাংলাদেশের সংসদ, দেশের গণতন্ত্রের ওপর বিশ্ব নেতৃত্বের আস্থা রয়েছে।”
স্পিকার বলেন, “জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। সামনের দিকে চলে যাচ্ছি। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ একটি নজির স্থাপন করেছে। এজন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে এ ধরনের দুটি নির্বাচনে ভালো ফল পেয়েছি।”
এসময় সাবের হোসেন চৌধুরীও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
“আন্তর্জাতিকভাবে বড় বিষয় হচ্ছে- দেশের ভাবমূর্তি। বাংলাদেশের এ নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা বড় স্বীকৃতি। সংসদীয় গণতন্ত্রের বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি আমরা। এ নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।”
দু’জনকে সংবর্ধনা
আন্তর্জাতিক সংসদীয় দুই ফোরামে শীর্ষ পদে নির্বাচিত হওয়ায় শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবের হোসেন চৌধুরীকে বুধবার সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বলে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জানিয়েছেন।
সংবর্ধনা উপলক্ষে সংসদ ভবনে আলোকসজ্জা ছাড়াও ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।