সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে এসিডে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
Published : 01 Sep 2014, 02:18 PM
রোববার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার নেওরগাছা গ্রামের সুজাবত আলীর বাড়িতে এ ঘটনার সময় বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে।
এসিড দগ্ধ সুজাবত আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫) ও মেয়ে শুকতারা খাতুনকে (৩২) সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, “মা ও মেয়ের মুখ, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলছে গেছে।”
এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন রোকেয়ার স্বজনরা। তারা বলছেন, খবর দেয়ার পরও সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ সেখানে যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া থানার ওসি তাজুল হুদা দুপুরে বলেন, “সুজাবত আলী প্রতিবেশী কার্তিকের জায়গা দখল করার চেষ্টা করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাট বা এসিড নিক্ষেপের মতো কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।”
তবে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন বলেন, “অভিযোগ তদন্তে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হবে। ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
রোকেয়া বেগমের ছেলে আল আমিন বলেন, বাড়ির সামনের ১০ শতক সরকারি খাস জমির দখল নিয়ে প্রতিবেশী কার্তিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি কার্তিক খাস জমিসহ নিজের তিন শতক জায়গা একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের কাছে বিক্রির চেষ্টা করলে দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়।
আল আমিনের অভিযোগ, রোববার সন্ধ্যায় কার্তিক ও ইসমাইলের নেতৃত্বে অন্তত ২৫/৩০ জন লোক তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট করে এবং তাঁত মেশিনে থাকা সুতা কেটে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে তার মা ও বোনকে এসিডে ঝলসে দেয়া হয়।
ওই ঘটনার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ ছিল না বলে আল আমিন জানান।