আলোচিত নিবন্ধটি খালেদা জিয়ার বলে ওয়াশিংটন টাইমস নিশ্চিত হয়ে প্রকাশের কথা জানালেও বিএনপি বলেছে, তাদের কাছে কোনো লেখা পাঠাননি দলীয় চেয়ারপারসন।
Published : 02 Jul 2013, 04:49 PM
মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ওয়াশিংটন টাইমসের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধীদলীয় নেতার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়াশিংটন টাইমসের তরফ থেকে বিরোধীদলীয় নেতার কাছে কখনোই কোনো লেখা চাওয়া হয়নি। ওই পত্রিকায় তিনি কোনো লেখা পাঠাননি।”
“আমি তার মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়াবলী দেখাশোনা করে থাকি। আমার মাধ্যমেই বিরোধীদলীয় নেতার লেখা কিংবা বিবৃতি পাঠানো হয়। সুতরাং ওয়াশিংটন টাইমসে এ ধরনের কোনো লেখা পাঠানো হয়নি।”
যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিকটিতে এই বছরের ৩০ জানুয়ারি একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয় খালেদা জিয়ার নামে, যার তীব্র সমালোচনা করেন সরকারি দলের নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি সুবিধা স্থগিতের পর এর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের ওই নিবন্ধকে দায়ী করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিরোধীদলীয় নেতার এই বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতে থাকা ওয়াশিংটন টাইমসে ছাপা ওই নিবন্ধের অনুলিপি তুলে ধরলে খালেদা জিয়া বলেন, “এটা আমার নয়। এমন কোনো লেখা আমি পাঠাইনি।”
এই বিষয়ে ওয়াশিংটন টাইমসে যোগাযোগ করা হলে সংবাদপত্রটির নির্বাহী সম্পাদক ডেভিড জ্যাকসন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো নিবন্ধটি যে খালেদা জিয়ার তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তা ছাপিয়েছেন তারা।
“ওই নিবন্ধটি ওয়াশিংটন টাইমসের কাছে আসে মার্ক পার্সির মাধ্যমে, লন্ডনভিত্তিক এই মধ্যস্থতাকারী খালেদা জিয়ার পক্ষে কাজ করেন। নিবন্ধটি প্রকাশের আগে এবং পরেও তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করেছি, আমরা এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে নিঃসন্দেহ।”
মার্ক পার্সি লন্ডনের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান (পিআর ফার্ম) বিটিপি’র অন্যতম অংশীদার, যারা বিভিন্ন দেশের হয়েও কাজ করেন।
মারুফ কামাল বলেন, “ওয়াশিংটন টাইমসে একটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নমে লেখাটি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে- এই তথ্য সঠিক নয়। বিরোধীদলীয় নেতা কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিকে তার পক্ষে কাজ করার জন্য নিয়োজিত করেননি।”
জিএসপি সুবিধা স্থগিতের বিষয়ে খালেদা জিয়ার নামে প্রকাশিত ওই চিঠিরও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
প্রেসসচিব বলেন, “বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধা স্থগিতের কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে কোথাও বিরোধীদলীয় নেতার চিঠির কথা উল্লেখ নেই।
“সুতরাং বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরকারি দল থেকে যেসব অপপ্রচার করে যাচ্ছে, তা জিএসপি সুবিধা রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতাকে আড়াল করা মাত্র।”