‘ওই লেখা খালেদার’

ওয়াশিংটন টাইমসে লেখা নিবন্ধটি খালেদা জিয়ার দাবি করে তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2013, 07:01 AM
Updated : 29 June 2013, 07:59 AM

শনিবার বিরোধীদলীয় নেতার পর সংসদে বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে সংসদ নেতা বলেন, “ওই লেখার ল্যাঙ্গুয়েজ ও উনার আজকের বক্তৃতার ল্যাঙ্গুয়েজে অনেক মিল আছে।

“অস্বীকার করলে পারবেন না। এখানে লেখা আছে- ‘খালেদা জিয়াস আর্টিকেল, ফরমার প্রাইম মিনিস্টার, প্রেজেন্ট অপজিশন লিডার’। ইন্টারনেটে খুঁজলেই যে কেউ দেখতে পাবে।”

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পর এজন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তার নামে গত জানুয়ারি ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ ধরে সমালোচনা করে আসছে সরকারি দলের নেতারা।

এর জবাবে শনিবার সংসদে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ““বলা হয়েছে, আমি নাকি চিঠি দিয়ে এই সুবিধা বন্ধ করেছি। কিন্তু আমি কোনো চিঠি পাঠাইনি।”

বিরোধীদলীয় নেতার এই বক্তব্যের সময় শেখ হাসিনা হাতে থাকা ওয়াশিংটন টাইমসে খালেদা জিয়ার নামে ছাপানো ওই নিবন্ধের অনুলিপি তুলে ধরেন।

তা দেখে খালেদা জিয়া বলেন, “এটা আমার চিঠি নয়। আমি প্রমাণ দেখাতে পারি- কেউ কেউ বলে- আমার নামে একটি লেখা বিদেশি পত্রিকায় প্রচারিত হয়েছে।। আমি এমন কোনো লেখা পাঠাইনি।”

ওই নিবন্ধ ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি আদার স্যাংশনের সুপারিশ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সুপারিশ করেছিলেন। এই আদার স্যাংশনের মানে জানেন?

“এই আর্টিকেলে ১২ জায়গায় আমার নাম নিয়েছেন। আমরা বিরুদ্ধে লিখবেন ভালো কথা। দেশের বিরুদ্ধে কেন?”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা অনেক সহনশীলতা দেখাচ্ছি। আমেরিকা জিএসপি বন্ধ করেছে। উনার (বিরোধীদলীয় নেতা) বক্তৃতা যেই ড্রাফট করেছে, ভালোই ড্রাফট করেছে।

“আমেরিকা ২০০৭ সাল থেকে নোটিস দিচ্ছে জিএসপি বাতিল করবে। আমরা শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করছি। বিএনপির সময় গার্মেন্ট শ্রমিকরা ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা। আমরা এই বেতন ৮২ ভাগ বৃদ্ধি করেছি।”

“এই জিএসপি বন্ধ করার জন্য আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ওয়াশিংটন টাইমসে লিখেছেন, যার মালিক ইহুদি,” বলেন শেখ হাসিনা।