'টাকার বিনিময়ে হেফাজতের লংমার্চ'

লংমার্চ করতে হেফাজতে ইসলাম কোটি কোটি টাকা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন হরতাল চলাকালে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় শ্রমিক লীগের এক প্রতিবাদ সমাবেশে হানিফ বলেছেন, "হেফাজতের কর্মসূচিতে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজত নিয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। এই দেনদেন হয়েছে আমার দেশ পত্রিকা অফিসে। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান নিজেও ৪ কোটি টাকা নিয়েছেন।"

হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই সহকারী বলেন, "লংমার্চকে ঘিরে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা হয়েছিল ওই দিন।"

‘নাস্তিক ব্লগারদের’ গ্রেপ্তারসহ ১৩টি দাবিতে লংমার্চ করে শনিবার দুপুরে মতিঝিলে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশের জন্য হেফাজতে ইসলামকে ধন্যবাদও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

হরতালের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।

"রাজনৈতিক দলের হরতাল দেয়ার অধিকার আছে। জনগণেরও অধিকার আছে হরতাল প্রত্যাখ্যান করার। তাই আজকের অযৌক্তিক হরতাল দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে," যোগ করেন হানিফ।

হানিফ দাবি করেন, হরতালে রাজধানীবাসীর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে। যানবাহন চলাচল করেছে।

"আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আজকের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রেখেছে। আর এটাই প্রমাণ করে বিরোধী দলের হরতাল অযৌক্তিক।"

হানিফ বলেন, "বিরোধী দল হরতাল দিয়েছে, কিন্তু কী কারণে হরতাল দিয়েছ, তার কোনো ব্যাখ্যা নাই।"

হানিফ বলেন, "জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যাবার আস্থাও বেগম খালেদা জিয়ার নেই। তাই তিনি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন ক্ষমতায় যাবার আশায়।"

শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি হাফিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।