বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
Published : 29 Mar 2012, 05:39 AM
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান পিটার কিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের এই আহ্বান জানান।
রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য পিটার কিং প্রতিনিধি পরিষদে গোয়েন্দা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির একজন সদস্য এবং কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার স্বপন সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রদূত কংগ্রেস কমিটিকে জানিয়েছেন যে, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
“রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করে থাকতে পারেন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার এবং বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করা সম্ভব।”
স্বপন সাহা বলেন, “মিস্টার কিং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে।
ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি গত বছরের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর করা হয়। এরা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি), বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার)।
বাকি সাতজনের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং নূর চৌধুরী কানাডার টরন্টোয় বসবাস করছেন বলে তথ্য রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।
তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত অক্টোবরে দুই দেশে চিঠি দেওয়া হলে কানাডা জানিয়ে দেয়, তারা নূরকে দেবে না। আর রাশেদকে ফেরত পেতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর ওই দুই খুনিসহ বিদেশে পলাতক থাকা আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেমউদ্দিন ও আব্দুল মাজেদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে।