কেবল কেন্দ্র দখল করলেই ইভিএমে জাল ভোট দেওয়া সম্ভব মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, তেমন কিছু ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের।
Published : 17 Jan 2020, 08:43 PM
শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ইভিএমে প্রোগামিং দিয়ে কাউকে হেল্প (সাহায্য) করা সম্ভব না। শুধু বুথ দখল করে জাল ভোট দেওয়া সম্ভব।”
তিনি বলেন, “ভোটার এসে আঙুলের ছাপ দিল, ব্যালট পেপার ইস্যু হল, আরেকজন দৌড় দিয়ে ঢুকে তার ভোটটা দিয়ে দিল। এরকম যদি হয় তাহলে কিন্তু জাল ভোট হল।”
অনুষ্ঠানের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “একমাত্র ভোটকক্ষ দখল করেই জালভোট দেওয়া সম্ভব। জাল ভোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য কর্মকর্তাদের বলেছি- এ ধরনের অপরাধ যারা করবে, তাকে পুলিশে সোপর্দ করবেন; তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
সেই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিতে হবে বলে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সতর্ক করেন নির্বাচন কমিশনার রকিফুল।
তিনি বলেন, “প্রিজাইডিং অফিসারের কাজ হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া, যাতে কোনো অবস্থাতেই অনুমতিবিহীন কেউ ভোটকেন্দ্রে (আপনার সীমানায়) ঢুকতে না পারে। প্রটেক্ট করতে যদি ব্যর্থ হন, আমি আপনাকে দায়ী করব।”
“… প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, রাজত্বটাকে রক্ষা করা, ঠিক একইভাবে রুমটা হচ্ছে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের তালুক কেন্দ্র। এই তালুকটাকে রক্ষা করা। “
৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের দিন রাখায় যে সমালোচনা চলছে, সে বিষয়েও কথা বলেন রফিকুল ইসলাম।
কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জ্ন্য সিটি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনার।”
দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়।