টানা বর্ষণ-উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়া আরও কয়েকদিন চলবে, তারপর তা কমবে বলে আভাস মিলেছে।
Published : 17 Jul 2019, 12:57 AM
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধান নদ-নদী অববাহিকতায় আরও দুদিন পানি বাড়বে।
“উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে তুলনামূলক বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি বাড়ার হারও কমে এসেছে। আগে যেখানে কোথাও হাফ বা ১ মিটার বেড়েছে, সেখানে এখন ১০-১৫ সেন্টিমিটার বাড়ছে। সেক্ষেত্রে দু-তিন দিন পর শুক্রবার-শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যাচ্ছে।”
আরিফুজ্জামান বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দুয়েকদিনে ৬ জেলায় বন্যার অবনতি হতে পারে। পাশাপাশি ৬ জেলায় উন্নতির আভাসও রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
এ সময় লালমনিরহাট, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বন্যার বিস্তার ইতোমধ্যে ২১ জেলায় ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, সিলেট, বগুড়া, গাইবান্ধা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সব নদীর পানিই মঙ্গলবার বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৬৩টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে। এরমধ্যে ২৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমেছে ২৯টি পয়েন্টে।
বাংলাদেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও উজানে থাকা ভারতের আসাম, মেঘালয়ের অনেক এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
পাশাপাশি দেশের বাংলাদেশে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। তবে অতি ভারি বর্ষণের আভাস নেই আপাতত।
মঙ্গলবার খুলনা কুমারখালীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার।
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৮৬ মিলিমিটার ও ত্রিপুরার আগরতলায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।