ট্রেনের ঈদটিকেট বিক্রির চতুর্থ দিনে উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যেও আগের অভিযোগই শোনা গেছে।
Published : 25 May 2019, 07:07 PM
অনলাইনে এবং মোবাইল অ্যাপে টিকেট কিনতে ভোগান্তির কথাই বলেন শনিবার যারা ৩ জুনের টিকেট কিনতে ঢাকার বিভিন্ন স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
সকাল ৯টায় টিকেট বিক্রি শুরু হলেও কমলাপুর স্টেশনে অনেকে ছিলেন আগের দিন বিকালে থেকে। বেলা ৪টা পর্যন্ত টিকেট দেওয়ার সময় নির্ধারিত, তবে তারপরও কাউন্টারের সামনে অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন।
শনিবার ৩৩টি আন্তঃনগর এবং চারটা বিশেষ ট্রেনসহ ৩৭টি ট্রেনের ২৮ হাজার ২২৪টি টিকেট বিক্রি হয়। কমলাপুর স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যাতায়াতকারী ১৬টি ট্রেনের ১৪ হাজার ৯৫টি টিকেট বিক্রি হয়। এরমধ্যে কাউন্টার থেকে ৫ হাজার ৯৪৪টি এবং অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপে আট হাজার ১৫১টি টিকেট বিক্রি হয়।
রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য বনলতা এক্সপ্রেসের টিকেট কিনতে ভোর পৌনে ৪টার দিকে কমলাপুর আসেন শাকিল আহমেদ। বেলা সাড়ে ৩টায়ও তিনি টিকেট কাউন্টারে পৌঁছতে পারেননি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে ভিড় কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অ্যাপস থেকে টিকেট কিনতে না পেরে সবাই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আশা করছি টিকেট পাব।”
টিকেট দিতে ধীরগতির অভিযোগ করেছেন টিকেট প্রত্যাশীরা।
“সেহরির খাইয়া আসছি। ২৯৯ নম্বর সিরিয়াল ছিল আমার। এখন বাজে বেলা সাড়ে ৩টা। এখনও টিকেট পাই নাই। একটা টিকেট দিতেই কমপক্ষে ১০ মিনিট লাগছে। পা ব্যথা হয়ে গেছে। আমি ছিলাম গেটের কাছে। এইটুকু আসতে সাড়ে সাত ঘণ্টা লেগেছে।"
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে লাইন ভেঙে টিকেট নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আমিনুল ইসলাম নামে একজন।
"রেলের পুলিশ, পোশাক পরা পুলিশ লাইন ভাইঙ্গা টিকেট নিয়া যায়। হেরলাগি যারা লাইনে দাঁড়াইয়া আছি তারা টিকেট সময়মতো পাই না।"
এ বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, এ রকম কিছু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"বাইরে থেকে কারও টিকেট নেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও এমন যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। আর এখন পর্যন্ত অনেক ট্রেনের টিকেট আছে। যাত্রীরা টিকেট কিনতে পারবেন। চারটার পরেও কাউন্টার খোলা থাকবে।"
এদিন বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৪ হাজার ৮৭৯টি টিকেট বিক্রি হয়। তেজগাঁও স্টেশন থেকে জামালপুরগামী পাঁচটি ট্রেনের ৩ হাজার ৪৪৪টি টিকেট বিক্রি হয়। বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ রুটের দুটি ট্রেনের এক হাজার ২৫৮টি টিকেট বিক্রি হয়।
ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলভবন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জ রুটের সাতটি আন্তঃনগর ট্রেনের চার হাজার ৫৪৮টি টিকেট বিক্রি হয়।