সম্প্রতি সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ায় শিশুর মৃত্যু, শিক্ষার্থী ও চালকদের শরীরে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেওয়াসহ শ্রমিকদের বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 31 Oct 2018, 08:51 PM
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিট আবদেনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুলও জারি করেছে। পরিবহন ধর্মঘটের নামে সংঘটিত সব ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আইশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ডিসি ও এসপিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা গত ২৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করে। ধর্মঘট চলাকালে পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে চলাচলকারী সাধারণ চালক, শিক্ষার্থীদের শরীরে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয়।
আদেশের পর আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ধর্মঘট সংক্রান্ত খবর মঙ্গলবার হাই কোর্টের নজরে আনা হয়। পরবর্তীতে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। এ রিট আবদেনে হাই কোর্ট অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা দিয়েছে।
ধর্মঘটের সময় পরিবহন শ্রমিকদের এসব নৈরাজ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা।
ধর্মঘটের নামে পরিবহন শ্রমিকদের সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ গত সোমবার সংসদ অধিবেশনে তোলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।
এ বিষয়ে সরকারের পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে দাবি করে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তিনি।