ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্সে বাধা, শিশুর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সেই, যেটাকে কয়েক জায়গায় ধর্মঘটী শ্রমিকরা বাধা দিয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।

বিকুল চক্রবর্তী মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2018, 03:51 PM
Updated : 28 Oct 2018, 03:51 PM

বড়লেখা সদর ইউনিয়নের আজমির এলাকার দুবাই প্রবাসী কুটন মিয়ার ৭ দিন বয়সী এই মেয়ে রোববার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় মারা যায়।   

শিশুটির চাচা আকবর আলী ফুল মিয়া বলেন, মেয়েটি অসুস্থ হলে সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি নিজে এবং শিশুটির মা সায়রা বেগম।

“সেখানে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তাকে সিলেট সদরে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।”

তিনি বলেন, এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করলে প্রথমে উপজেলার দাশের বাজার এলাকায় প্রায় আধাঘণ্টা আটকে রাখে ধর্মঘটকারী শ্রমিকরা।

“সেখান থেকে অনেক অনুরোধে ছাড়া পেলেও পুনরায় অ্যাম্বুলেন্সটি আটকা পড়ে সিলেটের বিয়ানীবাজারের চান্দ্রগ্রাম এলাকায়।”

ফুল মিয়া বলেন, সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার দেড়ঘণ্টা পর শিশুটির অবস্থা খারাপ হলে তারা গাড়িটি ছাড়ে।

“এ সময় শিশুর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেলা ২টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমদ হোসাইন বলেন, তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি ভোরে অন্য রোগী নিয়ে সিলেটে চলে যাওয়ায় একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করলে পথিমধ্যে দুইবার বাধাগ্রস্ত হয়। এতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় রাস্তায়ই শিশুটি মারা যায়।

অ্যাম্বুলেন্স বাধা না পেলে শিশুটিকে বাঁচানো যেত কি না প্রশ্ন করা হলে ডা. হোসাইন বলেন, “হয়ত বাঁচানো যেত।”

শিশুটি জন্ডিসে আক্রান্ত ছিল বলে জানান এই চিকিৎসক।

সন্ধ্যায় শিশুটিকে বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।