মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা প্রথম মামলার পাঁচ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 14 Oct 2018, 09:17 PM
সিআইডি হেফাজতে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক শিব্বির আহমেদ।
তিনি আদালতকে বলেন, আসামিরা ‘স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের কয়েকজন মহানগর হাকিম আসামিদের জবানবন্দি নিয়ে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
আসামিরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কালাম গাজীর ছেলে কাওসার গাজী, চাঁদপুরের মতলবের জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া, মাদারীপুরের কালকিনির হাসানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন, নওগাঁর পত্নীতলার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য), টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আনসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান ইমন।
আদালত পুলিশের কর্মকর্তা এসআই মো. জালাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিরা সবাই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে।”
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর গত ১০ অক্টোবর ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরদিন পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এটাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা।”
তর ভাষ্য অনুযায়ী, আসামিরা ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন একশভাগ কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিলেন।
আসামিদের মধ্যে একজন বিকাশের এজেন্ট, বাকিরা শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সদ্য প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, কেউ ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতারণা করলে তার শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড।