নিজস্ব উদ্যোগে স্মার্ট কার্ড উৎপাদন ও পার্সোনালাইজেশনের কাজ শুরুর পর এবার কাজে সহায়তার জন্যে সেনাবাহিনীর লোকবল চাইছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 26 Sep 2017, 09:42 AM
ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার নয় কোটি কার্ড ছাপতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কাছে অর্ধ শতাধিক লোক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের অধীনে আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস- আইডিইএ প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড উৎপাদন ও বিতরণ চলছে, যার মেয়াদ রয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নয় কোটি স্মার্ট কার্ড উৎপাদন ও পার্সোনালাইজেশনের (ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য কার্ডে সন্নিবেশ করা) কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা ইসির নিজস্ব জনবল দিয়ে সম্ভব নয়।
ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ডিসেম্বরের মধ্যে নয় কোটি কার্ড ফ্রান্স থেকে তৈরি করে এনে তাদের ব্যবস্থাপনায় ইসি সচিবালয়ের পারসো সেন্টারে পারসোনালাইজেশনের পর উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করার কথা ছিল।
কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও তা করতে না পারায় ওই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর নিজেদের উদ্যোগে সে কাজ করার উদ্যোগ নেয় ইসি।
অবার্থুরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ করার আশা প্রকাশ করে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম সে সময় বলেছিলেন, “আমরা দ্রুত লোকবল প্রস্তুত করছি, পারসোনালাইজেশন মেশিনও কাজ করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ এগিয়ে নিতে গত বুধবার ইসির সঙ্গে কারিগরী কমিটির বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরা হয়, তাতে আর সেই লক্ষ্য পূরণের আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, বর্তমানে ৭ কোটি ৭৫ লাখ ব্ল্যাংক কার্ড রয়েছে। সেগুলো প্রিন্ট করার পাশাপাশি ভোটারের তথ্য সন্নিবেশের (পার্সোনালাইজেশন) কাজ চলছে।
লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সাত কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার কার্ড উৎপাদন ও বিতরণ করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে রোববার ইসির পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়ে বলা হয়, সাত কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার কার্ড উৎপাদন এবং আইরিস ও আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে নাগরিকদের হাতে কার্ড তুলে দিতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অফিসারকে আইডিইএ প্রকল্পে জরুরি ভিত্তিতে সংযুক্ত করা দরকার।
এদিকে ডিসেম্বরে আইডিইএ প্রকল্প শেষে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এক নতুন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।