ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
Published : 24 Mar 2017, 10:35 PM
শুক্রবার ৭টার দিকে বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আইএসের মুখপত্র ‘আমাক নিউজ এজেন্সির’ বরাত দিয়ে জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটির টুইটারে এই খবর জানানো হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ বলা হলেও পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এটি পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা নয়। বোমা বহনকারী ওই ব্যক্তি পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে।
নিহত ওই ব্যক্তির সঙ্গে একটি ট্রলি ব্যাগও ছিল, যাতে একটি বোমা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এঘটনাই ওই ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ হতাহত হননি বলেও জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ প্রধান।
IS’ ‘Amaq News Agency Reports Suicide Bombing in Bangladeshi Capital Near Airport https://t.co/x7B4Dvkpmo
— SITE Intel Group (@siteintelgroup) March 24, 2017
For the 2nd time in one week, #ISIS claimed a suicide bombing in the #Bangladesh capital #Dhaka, the latest targeting a police checkpoint pic.twitter.com/vNh8ClvOyV
— SITE Intel Group (@siteintelgroup) March 24, 2017
তবে সাইট ইন্টেলিজেন্সের টুইটে বলা হয়, “বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক সপ্তাহে দ্বিতীয় বারের মতো আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করলো আইসিস। এবার লক্ষ্য ছিল পুলিশের চেকপয়েন্ট।”
গত ১৭ মার্চ আশকোনায় র্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার পর দেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এর ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে পুলিশবক্সের সামনে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
আগের ওই ঘটনায়ও দায় স্বীকারে খবর আইএসের মুখপত্র আমাক নিউজ এজেন্সিতে এসেছে বলে জানায় সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
ওই ঘটনায় আইএসের মিডিয়ায় খবর আসা বা দায় স্বীকারের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পুলিশ প্রধান বলেছিলেন, ঘটনাটি জঙ্গিরাই ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।
২০১৫ সালের শুরু থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত একের পর এক জঙ্গি হামলা ও হত্যার ঘটনার মধ্যে বেশ কয়েকটির দায় স্বীকার করেছিল আইএস। গুলশান হামলার রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আগেই হামলাকারীদের ছবিও তারা প্রকাশ করেছিল।
তবে পুলিশ ও সরকার বরাবরই বলে আসছে, বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। যেসব জঙ্গি কর্মকাণ্ড চলছে, তা দেশীয় উগ্রপন্থি দলগুলোই করছে।
গুলশান হামলার জন্য নব্য জেএমবিকে দায়ী করে আসছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তামিম চৌধুরী নামে যে ব্যক্তিকে পুলিশ নব্য জেএমবির নেতা বলে আসছে, তাকে বাংলা অঞ্চলে আইএসএর প্রধান বলা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ওই জঙ্গি দলের প্রকাশনা দাবিকে।