আদালতের রায় আসার পরও ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু না করায় রাজউকের চেয়ারম্যানকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
Published : 09 Mar 2017, 01:08 PM
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বৃহস্পতিবার এই নোটিস পাঠান। তিনি এ মামলায় হাই কোর্টে অ্যামিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে কেন অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে। তাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
ওই সময়ের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যানের সাড়া না পেলে আপিল বিভাগে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে মনজিল মোরসেদ জানান।
হাই কোর্ট ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে। ১৬ তলা ওই ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পের ‘একটি ক্যান্সার’ অ্যাখ্যায়িত করা হয় ওই রায়ে।
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ এর লিভ টু আপিল গতবছরের ২ জুন আপিল বিভাগেও খারিজ হয়ে যায়।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিজিএমইএকে ‘অবিলম্বে নিজেদের খরচে’ ওই ভবন ভেঙে ফেলতে বলা হয়। তা না করলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভবন ভেঙে ফেলতে বাস্তবায়ন নেবে এবং ভবন ভাঙার টাকা বিজিএমইএ এর কাছ থেকে আদায় করবে বলে রায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়।
“এমতাবস্থায় আপনাকে অত্র নোটিস প্রদান পূর্বক ৭ দিনের সময় প্রদান করা যাচ্ছে যে, আপনি ৭ দিনের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাকে অবহিত করবেন। নতুবা আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।”
বিজিএমইএ ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত রোববার তা খারিজ করে দেয়।
এরপর বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার জন্য তিন বছর সময় চেয়ে বুধবার একটি আবেদন করে, যা বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে তোলা হয়।
আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য রোববার দিন রেখেছে বলে বিজিএমইএ এর আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
আদালতে কামরুল হক সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।