দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার কোস্টগার্ডের সাবেক মহাপরিচালক বিএনপি নেতা কমোডর শফিক-উর-রহমানের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 29 Sep 2016, 08:34 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শফিক-উর-রহমান কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
ওই সময় কোস্টগার্ডের নামে বরাদ্দ গম বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৮ বছর আগের এক মামলায় বুধবার রাতে মহাখালীর ডিওএইচএস এর বাসা থেকে শফিক-উর-রহমানকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাত ১টার দিকে গ্রেপ্তারের পর নৌবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তাকে নেওয়া হয় রমনা থানায়। রাতে থানায় রেখে বৃহস্পতিবার তাকে হাজির করা হয় মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে।
শফিক-উর-রহমানের পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রবীর রঞ্জন দাস।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রকিসিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কমকে জানান, ১৯৯৬-৯৭ ও ৯৭-৯৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কোস্ট গার্ডের নামে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করে।
দুর্নীতির মাধ্যমে ওই গম বিক্রি করে সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ২ অগাস্ট শফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা করে তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী ওই গম বিক্রি করার কোনো সুযোগ ছিল না। আসামিরা ওই গম ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেন, যদিও তখন সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১১ টাকা ৬৪ পয়সা।
এর মাধ্যমে তারা ৭ কোটি ৩৭ লাখ চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
তার আইনজীবী প্রবীর রঞ্জন দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি দুর্নীতি করেননি। তার বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে... আমরা প্রমাণ করব যে তিনি নির্দোষ।”
অবসরপ্রাপ্ত কমোডর শফিক-উর-রহমান বর্তমানে আশিয়ান গ্রুপের একজন পরিচালক।
বেসরকারি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেসের ওয়েবসাইটেও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তার নাম দেখা যায়।
পরে সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেস এক চিঠিতে জানায়, শফিক ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের সংস্থায় ছিলেন। তবে অসাবধানতাবশত ওয়েবসাইটে নামটি থেকে যায়। তবে এখন ওয়েবসাইট থেকে নামটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।