কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার সবার শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হবেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক; শেষ ঘুমে শায়িত হবেন নিজের জেলা কুড়িগ্রামে, যে মাটিতে ৮১ বসন্ত আগে তার জন্ম হয়েছিল।
Published : 27 Sep 2016, 07:13 PM
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে সদর্প বিচরণকারী এই লেখকের।
কবি ও চিকিৎসক ড. আশরাফ জুয়েল জানান, হাসপাতাল থেকে সৈয়দ হকের মরদেহ তার গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। রাতে কফিন রাখা হবে হাসপাতালের হিমঘরে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার সকাল ১০টায় কফিন নিয়ে যাওয়া হবে বাংলা একোডেমি প্রাঙ্গণে। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। আর ১৯৮৪ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছিল সরকার।
বুধবার জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আরেক দফা জানাজা শেষে সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে কুড়িগ্রামে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এই কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় তার জন্ম। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে তার কবর হবে।
গতবছর নভেম্বরে কলেজ চত্বরে আয়োজিত এক গুণীজন সংবর্ধনা ও সাহিত্যকথন অনুষ্ঠানে সৈয়দ শামসুল হক তার এই শেষ ইচ্ছার কথা জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষ সে সময়ই সরকারের অনুমোদন নিয়ে লেখকের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।